ম্যাচের আগেই ট্রেন্ট বোল্ট বলেছিলেন, ১৪ বছরের সূর্যবংশীকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন না তিনি, গেইল-ডি ভিলিয়ার্সকে সামলেই এতদূর এসেছেন। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই পেস বোলার সেই কথাও রাখলেন। বৃহস্পতিবার (১লা মে) রাজস্থানের মাটিতেই স্বাগতিকদের মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে দিয়ে ১০০ রানের বড় জয় পেয়েছে মুম্বাই। যেখানে বড় অবদান রেখেছেন এই কিউই পেসার।
ঘরের মাঠে টসে জিতেও প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। আর প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকেলটন।
আরও পড়ুন: আঙুলের চোটে আইপিএল শেষ ম্যাক্সওয়েলের

মাত্র ১১.৪ ওভারেই বিনা উইকেটে ১১৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। থিকসানার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা রিকেলটন। এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার রোহিত শর্মাও। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৩৬ বলে ৯ চারে ৫৩ রানের চোখজুড়ানো এক ইনিংস।
তবে মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়েও মুম্বাইকে সঠিক রাস্তায় রাখেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। দুজনেই অপরাজিত থেকে ৯৪ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সুরিয়াকুমার ও সমান ৪৮ বলে ৬টি চার ও ১ ছয়ে সেই ৪৮ রানেই অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৭ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বৈভব সূর্যবংশীকে শূন্য রানে ফেরান দীপক চাহার। এরপর পরের ওভারে আরেক ওপেনার ইয়াসভী জাইসওয়ালও বোল্টের শিকার হয়ে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: সূর্যবংশীর ভয়? বোল্টের জবাব — গেইল-ভিলিয়ার্সকেও সামলেছি
এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। শেষ দিকে জোফরা আর্চার (৩০) ছাড়া বলার মতো আর কেউই বড় রান করতে পারেনি। বোল্ট-বুমরাহদের তান্ডবে মাত্র ১৬.১ ওভারেই ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান। ফলে ১০০ রানের জয় পেয়ে ১১ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় উঠে হার্ডিক পান্ডিয়ার দল। মুম্বাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও কারান শর্মা। এছাড়া বুমরাহ শিকার করেন আরও ২টি উইকেট।