রাওয়ালপিন্ডিতে দীর্ঘদিন পর আবারও বাইশগজে নেমেছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর এই টাইগারের প্রত্যাবর্তনে দিনশেষে জয়ী দলের নামও লাহোর কালান্দার্স।
ষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরেই শুরু হয় পিএসএলের গুরুত্বপূর্ণ লাহোর কালান্দার্স বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার থেকে কমিয়ে ১৩ ওভারে ম্যাচ শুরু করা হয়।
আর টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরু করে লাহোর কালান্দার্স। মাত্র ৩.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫৩ রানের ওপেনিং জুটি দাঁড় করিয়ে ফেলে লাহোরের দুই ব্যাটার ফখর জামান ও নাঈম। এরপর ব্যক্তিগত ২২ রানে নাঈম ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের কাজ চালিয়ে যান ফখর। এক পর্যায়ে তুলে নেন ঝড়ো ফিফটিও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতলো ভারতের যুবারা

অপর প্রান্তে যদিও আসা যাওয়ার মিছিলেই থাকেন লাহোরের ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে প্রায় ৬ মাস পর আবারও বাইশগজে মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে ভক্তদের হতাশ করে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ফখরের ৩৬ বলে ৭টি চার ও ৩ ছয়ে ঝড়ো ৬০ রানের কল্যানে নির্ধারিত ১৩ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ রান তোলে লাহোর কালান্দার্স। পেশোয়ারের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ড্যানিয়েল, আলি রাজা ও দানিয়েল।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পেশোয়ার জালমি। দলীয় ২০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সাইম আইয়ুব। এরপর দ্রুতই একই পথের পথিক হোন হারিস, ব্রায়ান্ট এবং অধিনায়ক বাবর আজম। এক সালমান মির্জার বোলিং তোপেই দিশেহারা পেশোয়ার এক সময়ে দলীয় ৬৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত ১৩ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানেই থামে পেশোয়ার। ২ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইকেটের দেখা পাননি সাকিব আল হাসান।

আরও পড়ুন: রোনালদো জুনিয়রের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল
এর আগে দিনের আরেক ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতেই মুলতান সুলতানের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করে ফেললো কোয়েটা । প্রথমে ব্যাট করে ইয়াসির খানের ৪৫, তাহিরের ৩৬ ও আজিজের ২৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় মুলতান সুলতান্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খাজা নাফের ২৬ বলে ৫১ এবং হাসান নাওয়াজের অপরাজিত ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝড়ে ২ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় গ্ল্যাডিয়েটর্স।