টানা পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়। টুর্নামেন্টের শুরু কিছুটা ধীরগতির হলেও ছন্দে ফিরে এসেছে পাঁচবারের শিরোপা জয়ীরা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় পাওয়া হার্দিকের দল জিতেছে নিজেদের পরের পাঁচ ম্যাচই। এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৫৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে মুম্বাই। ব্যাট হাতে রায়ান রিকেলটন ও সুরিয়কুমার ইয়াদাভের দুর্দান্ত অর্ধশতকের পর জাসপ্রতি বুমরাহর অসাধারণ বোলিংয়ে বিশাল এই জয় পায় স্বাগতিকরা।

ওয়াংখেড়েতে এদিন টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। তবে শুরু থেকেই লক্ষ্ণৌর বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। যদিও দুই ছক্কা হাকিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। এরপর উইল জ্যাকসকে সাথে নিয়ে দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ গড়েন রায়ান রিকেলটন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে তুলে ফেলে ৬৬ রান।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে সিরিজ জিততে চান আরভিন
দিগ্বেশ রাঠির বলে রিকেলটন বিদায় নেয়ার আগে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় তার ব্যাটে আসে ৩২ বলে ৫৮ রান। উইল জ্যাকস কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও চারে নামা সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ অবশ্য ছিলেন বেশ মারমুখী। একের পর এক চার-ছক্কায় রানের চাকা সচল রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে বিদায় নেন সুরিয়াও।

শেষ দিকে নামান ধীর ও করবিন বশের দুই ক্যামিও ইনিংসে দুইশো রানের সংগ্রহ পেরোয় মুম্বাই। নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান তোলে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। লক্ষ্ণৌর হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নেন আভেশ খান ও মায়াঙ্ক ইয়াদাভ।
আরও পড়ুন: বড় শাস্তির মুখে রুদিগার, প্রকাশ্যে চাইলেন ক্ষমা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন এইডেন মার্করাম। বুমরাহর বলে নামান ধীরকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এই উইকেটের মাধ্যমে আইপিএলের মঞ্চে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের মালিকও বনে গেলেন বুমরাহ, পেছনে ফেললেন কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে।

মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান এরপর কিছুটা ঝড়ো গতিতে ব্যাট করলেও পাওয়ারপ্লের পরের বলেই বিদায় নেন পুরান। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেটের পতন ঘটে লক্ষ্ণৌর। তবে ডেভিড মিলারের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পান্তের দল। যদিও সেই স্বপ্ন চুরমার করতে মাত্র এক ওভার সময় নিয়েছেন বুমরাহ। নিজের তৃতীয় ওভারে একে একে বিদায় করেন ডেভিড মিলার, আব্দুল সামাদ ও আভেশ খানকে। শেষ পর্যন্ত বুমরাহর এই বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় লক্ষ্ণৌ। মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ এবং ট্রেন্ট বোল্ট তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট।