শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর বাকি থাকা ম্যাচগুলো। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার কারণে স্থগিত হওয়া এই লিগটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখন দেশের মাটিতেই শেষ করতে চায়, এমনটাই উঠে এসেছে ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে। এবারের আসরে এখনো আটটি ম্যাচ বাকি রয়েছে এবং পিসিবি সহ অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি বাকি ম্যাচগুলো খুব দ্রুতই শেষ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানেই হবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ, দাবি দেশটির গণমাধ্যমের
সোমবার (১২ মে) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে একটি বৈঠকে নির্দিষ্ট তারিখ ও ভেন্যু নিয়ে আলোচনা করেছে টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই পাকিস্তানে ফিরতে আগ্রহী নন। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিয়ে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য পিসিবি একটি ‘রিপ্লেসমেন্ট ড্রাফট’ আয়োজনের কথা ভাবছে। তবে এতে যে খেলোয়াড়রা আসবেন, তাদের মান নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ আছে। নাকি দামি সব ক্রিকেটারএয়া পিএসএল ও আইপিএলে নাম লেখানোর কারণে এই ড্রাফটে ভালোমানের বিকল্প পাওয়া কঠিন হবে। অন্যদিকে, সম্প্রচার দলের সাথে চুক্তি ১৮ মে শেষ হওয়ার কথা, তাই প্রোডাকশন টিম সহ অন্যান্য দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে আয়োজক কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের কোচ হলেন কার্লো আনচেলত্তি
বৃ্হস্পতিবার (৮ মে) রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামে হামলার কারণে স্থগিত করা হয় সেদিনের করাচি ও পেশোয়ারের মধ্যকার ম্যাচ। পরে আসরের বাকি ম্যাচগুলো রাওয়ালপিন্ডি থেকে করাচিতে সড়ানোর প্রস্তাবনা করা হয়। তবে বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তানে খেলতে অপারগতা প্রকাশ করলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিএসএল সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরে পুরো আসরই সম্পূর্ণ স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে ২০২৫ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির দশ বছরের লিজের মেয়াদও শেষ হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকরা নতুন চুক্তি করবেন টুর্নামেন্ট আয়োজকদের সাথে। তবে অনেকেই এবার স্থায়ী মালিকানা চাচ্ছেন।এছাড়া মে মাসের শেষদিকে পিএসএলের ম্যাচ থাকলে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরও প্রভাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিপিএলের কালো অধ্যায়; ১৪০ সন্দেহজনক ঘটনা?
বাংলাদেশ দলের ২১ মে পাকিস্তান পৌঁছানোর কথা এবং ২৫ মে থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদে এবং বাকি তিনটি লাহোরে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা সফর নিয়ে পিসিবির সঙ্গে “সক্রিয় আলোচনা” চালিয়ে যাচ্ছে। পিএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও, চলতি মৌসুম শেষ করাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছে পিসিবি।