ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উদ্ভুত যুদ্ধ পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার পর নতুন করে আবারো আলোচনায় এসেছে স্থগিত হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো। আইপিএলের মতো পিএসএল শুরুর ব্যাপারেও চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। এরই মাঝে পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী। তিনি মনে করেন পিএসএলের ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনায় আনা উচিত পিসিবির।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ছাড়াই হতে পারে আইপিএল-পিএসএল
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের জেরে স্থগিত করা হয়েছে দুদেশের চলমান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম পাড়ায় ভারতের হামলার পর ওই দিনের করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির মধ্যকার ম্যাচ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার (৯ মে) পুরো আসর স্থগিতের ঘোষণা দেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তবে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা আসার পর আবারো আলোচনায় এসেছে কবে নাগাদ শুরু হবে পিএসএলের বাকি থাকা ম্যাচগুলো।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাধমাধ্যম জিও নিউজ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো এক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। টুর্নামেন্টের সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তাদের বিদেশি তারকাদের দুবাইয়ে অবস্থান করতে বলেছে। এছাড়া দেশি ক্রিকেটারদের আসরের বাকি ম্যাচগুলোর জন্যও প্রস্তুত রাখার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ, এমনটাই উঠে এসেছে জিও নিউজের প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: মে মাসেই আইপিএল শেষ করতে চায় বিসিসিআই
তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতে পাকিস্তানে আসরের বাকি ম্যাচ আয়োজন করতে বেশ হিমশিম খেতে পারে আয়োজকরা। কারণ যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিলেও উদ্ভুত এই উত্তেজনার রেশ কাটতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তাছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মনোবল ভেঙে যাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আয়োজক কমিটির সামনে। এমন পরিস্থিতিতে বাসিত আলী মনে করেন আসরের বাকি ম্যাচগুলোর আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা যেতে পারে।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে এক ভিডিওতে বাসিত বলেন, “পিএসএল আবার শুরু হতে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ পাকিস্তানেই হবে। তবে আমি পিসিবিকে অনুরোধ করব, যদি টুর্নামেন্টে কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয় দয়া করে খেলা দুবাইতে সরিয়ে নেবেন না। বাংলাদেশকে বিবেচনা করবেন যেখানে স্টেডিয়ামগুলো ক্লাবের ম্যাচগুলোতেও ক্রিকেটপ্রেমী সমর্থকদের দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে।”
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) করাচি বনাম পেশোয়ারের মধ্যকার ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা হবে। তবে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড সার্বিক দিক বিবেচনা করে পিএসএল আয়োজন করার ব্যাপারে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে বাধ্য হয়ে পুরো টুর্নামেন্টই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি।