প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে আইপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মুল্লানপুরে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে পাঞ্জাবকে ধরাশায়ী করেই ফাইনালের টিকিট কেটেছে কোহলি-পাতিদাররা। ৬০ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে চতুর্থবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠলো বেঙ্গালুরুর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আরও পড়ুন: ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বুলবুল
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টসভাগ্যটা সঙ্গ দেয় বেঙ্গালুরুর, সিদ্ধান্ত নেয় আগে বল করার। অধিনায়ক রজত পাতিদারের সিদ্ধান্ত যে মোটেই ভুল ছিলো না সেটা প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি বেঙ্গালুরুর বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রিয়াংশ আরইয়াকে বিদায় করেন ইয়াশ দয়াল। পরের ওভারে আঘাত হানেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পিছনে জিতেশ শর্মার কাছে ক্যাচ তুলে দেন প্রভসিমরান সিং।
হ্যাজেলহুডও নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন। পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে বিদায় করেন অজি এই পেসার। হ্যাজেলহুডের ঝড় সেখানেই থেমে থাকেনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবারো আঘাত হানেন এই বোলার। এবার তার শিকার স্বদেশী জস ইংলিস। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে পাঞ্জাব।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ বিশ্বাস মুশতাকের
যদিও সেই বিপদের হাত থেকে পরিত্রাণ মেলেনি পাঞ্জাবের। শুয়াস শর্মার ঘূর্ণি জাদুর কাছে হার মানতে হয় মুশির খান কিংবা শশাঙ্ক সিংকে। অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তিনিও সুয়াশের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হয়ে বিদায় নেন ২৬ রান করে। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইর ১৮ রানে ভর করে একশো রান পেরোতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব। শেষ ব্যাটার হিসেবে ওমরজাই বিদায় নিলে মাত্র ১৪.১ ওভারে শেষ হয় লিগ টপারদের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন হ্যাজেলহুড ও সুয়াশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর শুরুটা ছিলো দুরন্ত। ১০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ৩ ওভারেই ৩০ রান তুলে ফেলে বেঙ্গালুরু। তবে চতুর্থ ওভারে কোহলি বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আরসিবি। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জেমিসনের বলে ২১ রান নিলে ম্যাচ আরো সহজ হয়ে যায় আরসিবির জন্য। ২৩ বলে নিজের অর্ধশতকে পৌঁছে যান সল্ট। শেষ পর্যন্ত ৬০ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি।