লম্বা টানাপোড়েন শেষে মেলেছে প্রতীক্ষিত খবর। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের শেষ তিনটি লিগ ম্যাচে খেলতে পারবেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে মরিয়া দিল্লির বোলিং আক্রমণে এবার যুক্ত হচ্ছেন একজন পরীক্ষিত অস্ত্র।
তবে এই সিদ্ধান্তের সাথে একটি শর্ত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেটি হলো, ১৭ মে শারজাহতে আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজকে খেলতেই হবে জাতীয় দলের হয়ে। সেই ম্যাচ শেষ করেই পরদিন ভারতে উড়ে যাবেন এই পেসার। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পাবে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: খুলনা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চান মিরাজ

দিল্লির জন্য খবরটি যেমন আনন্দের, তেমনি সময়োপযোগীও। কারণ ইনজুরি আর ব্যক্তিগত কারণে বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার দল ছেড়ে যাওয়ায় অনেকটাই অগোছালো হয়ে পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতিতে দিল্লির জন্য বাড়তি চিন্তার কারণ ছিল পেস ইউনিট। এমন পরিস্থিতিতে মুস্তাফিজের মতো অভিজ্ঞ বোলারের উপস্থিতি তাদের বড় ভরসা হতে পারে।
অর্থাৎ, ২০২৫ মৌসুমে নিলামে দল না পেলেও, মাঝপথে আইপিএলে খেলতে যাচ্ছে মুস্তাফিজ। ফিরেছেন পুরনো ক্লাব দিল্লিতে, যেখানে ২০২২ ও ২০২৩ মৌসুমে খেলেছেন আগেও। এবার অবশ্য পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। দলটি ১১ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে। সেরা চারে পৌঁছাতে হলে বাকি তিন ম্যাচে জয় প্রয়োজন, আর সে পথেই এখন ভরসা হয়ে উঠছেন কাটার স্পেশালিস্ট।
আরও পড়ুন: আইপিএলের শেষভাগে কারা ফিরছেন, কারা আসছেন না ভারতে

অতীতের অভিজ্ঞতা, চাপ সামলানোর মানসিকতা আর উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে দাপট— সব মিলিয়ে মুস্তাফিজ যেন দিল্লীর প্লে-অফে উঠার লড়াইয়ে শেষ আলোর প্রদীপ।
বলা যায়, বোর্ডের ছাড়পত্রও মিলেছে, আবার জাতীয় দলের কাজও সেরে নিবেন। এখন দেখার পালা, দিল্লির শেষ চেষ্টা কতটা সফল হয় এই বাংলাদেশি পেসারের হাত ধরে।
আরও পড়ুন: বিফলে আকবরের সেঞ্চুরি, সিরিজে সমতা প্রোটিয়া ইমার্জিংয়ের