বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

‘জয়ের ষোলোআনা’ হতে পারে পাঞ্জাবের, ইতিহাস গড়ার হাতছানি

আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই টুর্নামেন্টটির সাথে জড়িয়ে আছে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাবের নাম। তবে এতো পুরোনো দল হয়েও এখনো পর্যন্ত শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি পাঞ্জাবের এই ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটির। এবারের আইপিএল বাদে এর আগে মাত্র একবার ফাইনালের মঞ্চ পর্যন্ত আসতে পেরেছিলো দলটি। তবে সেবারও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এবার আবারো ফাইনালের মঞ্চে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব। খেলবে কোহলির বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। আর এই ফাইনালে জিততে পারলেই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের সাথে একই কাতারে পৌছে যাবে পাঞ্জাব।

আরও পড়ুন: জুন উইন্ডোতে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ম্যাচ কবে, কখন?

আঠারো বছরের আইপিএল ইতিহাসে তর্কসাপেক্ষে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অনেকেই হয়তো মুম্বাইয়ের সাথে চেন্নাইয়ের নামটাও জুড়ে দিতে চাইবে। কেননা দুদলই যে জিতে নিয়েছে পাঁচটি করে শিরোপা। তবে মুম্বাইয়ের অবশ্য এমন এক কীর্তি রয়েছে যা তাদেরকে আইপিএলের সবচেয়ে সফলতম দলের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে নেবে। আইপিএলের ইতিহাসে প্রায় সবধরনের ট্রফি জেতার অনন্য কীর্তি। তবে পাঞ্জাব কিংসের সামনে আজ সুযোগ রয়েছে সেই অনন্য কীর্তিতে ভাগ বসানোর।

আইপিএলের সব ধরনের এওয়ার্ড যেমন,ফেয়ার প্লে, অরেঞ্জ ক্যাপ, পার্পেল ক্যাপ, ইমার্জিং প্লেয়ার, এমভিপি, বেস্ট ক্যাচ কিংবা মোস্ট সিক্স সবগুলোর সাথে সোনালী সেই ট্রফিটি একবার করে জিতেছে কেবল মাত্র মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আজ রাতের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংস যদি জয় পায়, তাহলে তারাও এই এলিট তালিকায় ঢুকে যাবে।

আরও পড়ুন: আইপিএল ফাইনালে দুইদলের একাদশ কেমন হচ্ছে? 

২০১৮ সালে ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড জয়ের মাধ্যমে প্রথম দল হিসেবে এই কীর্তিতে নাম লেখায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এর আগে একে একে বাকি সব ট্রফিই নিজেদের নামে করেছিলো আম্বানি পরিবারের মালিকানাধীন দলটি। ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ছক্কার পুরষ্কার জিতেছিলেন মুম্বাইয়ের সনাৎ জয়সুরিয়া। এরপর ২০১০ সালে ৬১৮ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতে নেন শচীন টেন্ডুলকার। সেই সাথে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবটাও সেবার নিজের করে নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ওই আসরের ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরষ্কারটাও সৌরভ তিওয়ারির হাত ধরে গিয়েছিলো মুম্বাইয়ের ঘরেই। তবে এতো দারুণ সাফল্যের পরও সেবার রানার্সআপ হয়েই আসর শেষ করতে হয়।

পরের বছরই পারপেল ক্যাপের পুরষ্কার জিতে নেন মুম্বাইয়ের লাসিথ মালিঙ্গা। ব্যক্তিগত সব ট্রফি জিতলেও শিরোপা জয়ের স্বাদটা পাচ্ছিলো না মুম্বাই। অবশেষে ২০১৩ সালে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। আইপিএলের সোনালী ট্রফি উচিয়ে ধরলো মুম্বাই। ২০১৪ সালে বেস্ট ক্যাচের পুরষ্কারটা লুফে নেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড। আর ২০১৮ সালে ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড জয়ের মাধ্যমে সবধরনের এওয়ার্ডের ষোলোকলা পূর্ণ করে মুম্বাই।

আরও পড়ুন: ম্যাচ হারার দায় নিয়ে ক্ষমা চাইলেন নেইমার

পাঞ্জাব কিংসের ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিটি ধাপ একে একে পার হতে হয়েছে। যার শুরুটা হয়েছে ২০০৮ সালে শন মার্শের অরেঞ্জ ক্যাপ জেতার মাধ্যমে। এরপর ২০০৯ সালে ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড জিতে নেয় পাঞ্জাব। ২০১২ সালে মানদিপ সিংয়ের হাতে ওঠে ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরষ্কার। পরের বছর থেকে চালু হওয়া সেরা ক্যাচের পুরষ্কার প্রথম আসরে যায় পাঞ্জাবের গুরকিরাত মানের কাছে।

২০১৪ সালে এমভিপির পুরষ্কারটা জিতে নেন ম্যাক্সওয়েল, সাথে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার খেতাবও যায় তার নামে। সেবার ফাইনালেও উঠেছিলো দলটি। তবে কলকাতার কাছে হেরে শিরোপার স্পর্শ পাওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে এন্ড্রু টাইয়ের হাত ধরে পারপেল ক্যাপটাও জিতে নেয় পাঞ্জাব। এরপর থেকে শুধু বাকি আছে শিরোপার অপেক্ষা। তবে সেই অপেক্ষা হয়তো ঘুচতে পারে আহমেদাবাদের ফাইনালে। যদি তাই হয় তবে মুম্বাইয়ের সাথে অনন্য কীর্তিতে নাম উঠে যাবে পাঞ্জাবেরও।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর