আইপিএলের এবারের আসরে ৫০টি ম্যাচ শেষে প্লে-অফের দৌঁড় থেকে ছিটকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস। বাকি আটটি দলই এখনো প্লে-অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে পয়েন্ট তালিকায় আট দলের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। প্রতিটি দলেরই সামনের ম্যাচগুলো হয়ে উঠেছে বাঁচা-মরার লড়াই। এই অবস্থায় প্লে-অফ নিশ্চিত করতে কার সামনে কী সমীকরণ সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: সূর্যবংশীকে মাথায় তোলা যাবে না: গাভাস্কার
দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে ১০০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে মুম্বাই। হার্দিক পান্ডিয়ার দল শীর্ষে উঠলেও এই ম্যাচ হারায় আসর ছিটকে গেছে রাজস্থান। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া মুম্বাইয়ের বাকি তিন ম্যাচের দুইটি ঘরের মাটিতে। ১৮ পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হবে মুম্বাইয়ের প্লে-অফের টিকিট। সেই সাথে ১.১২৪ এর নেট রানরেটটাও তাদেরকে দিবে বাড়তি সুবিধা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অবস্থাও বেশ ভালো বলা যায়। দশ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪ এবং বাকি আছে চারটি ম্যাচ। চার ম্যাচের দুটো জিততে পারলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ। যদিও অন্যদের ফলাফল অনুযায়ী ১৬ পয়েন্টেও সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে তাদের লক্ষ্য থাকবে সেরা দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা
প্লে-অফের দৌঁড়ে এখনো টিকে আছে পাঞ্জাব কিংস। যদিও দশ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পাওয়া পাঞ্জাবের দরকার কমপক্ষে আরো তিনটি জয়। একাধিক ম্যাচে হার মানেই নির্ভর করতে হবে অন্যদের ফলাফলের ওপর। তবে হোম গ্রাউন্ডে পরের তিন ম্যাচ তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা হতে পারে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে গুজরাট টাইটান্স। মাত্র নয়টি ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পজিশন বেশ সুবিধাজনক বলা যায়। তিনটি হোম ম্যাচে জিততে পারলে তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত। দুর্বল দলগুলোর বিপক্ষে খেলা থাকায় সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই আছে গিল বাহিনীর জন্য।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন ওয়াদিফা
দুর্দান্ত শুরু করলেও ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দশ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখন পঞ্চম স্থানে আছে তারা। তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ থাকলেও সেখানেই তারা বেশি জয় পেয়েছে। তাদের বাঁচতে হলে কমপক্ষে তিনটি জয় দরকার। তা না হলে নির্ভর করতে হবে নেট রান রেট ও অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর।
বেশ চাপেই আছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। দশ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১০, তবে -০.৩২৫ নেট রান রেট তাদের অনেকটাই পিছিয়ে রাখছে। বাকি থাকা চার ম্যাচের মধ্যে আবার তিনটিই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে, তাই প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হবে তাদের জন্য। তাছাড়া ১৬ পয়েন্ট পেলেও প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই লক্ষ্ণৌর সামনে।
আরও পড়ুন: রাজস্থানকে ১০০ রানে হারিয়ে শীর্ষে মুম্বাই
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স লড়াইয়ে এখনো টিকে থাকলেও পরিস্থিতি তাদের বিপক্ষে। দশ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট তাদের। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট ১৭ হলেও সেটি যথেষ্ট নাও হতে পারে। নিজেদের শেষ চার ম্যাচের সব জিতলেও ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সমীকরণ সবচেয়ে কঠিন। নয় ম্যাচে মাত্র ছয় পয়েন্ট পাওয়া দলটির জিততে হবে সবকয়টি ম্যাচ। তবে তারপরও অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।