বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। চুক্তির নবায়নের পর নিজের পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। সিমন্সের মতে, বিসিবি তাকে কাজের স্বাধীনতা দেবে, যা দলের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় দৈনিক সমকালের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে গত ছয় মাসের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে সিমন্স জানিয়েছেন, দলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজ চলছে। তার লক্ষ্য আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দলকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আনতে বিভিন্ন পরিবর্তনের দিকে নজর দিচ্ছেন সিমন্স। বিশেষ করে ওয়ানডেতে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর বিকল্প খুঁজে বের করার বিষয়টি তার অন্যতম অগ্রাধিকার। পাশাপাশি তামিম, সাকিব, রিয়াদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের উত্তরসূরি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে ওয়ানডেতেও শুভসূচনা নিউজিল্যান্ডের
এছাড়াও সমকালকে সিমন্স বলেন, “বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, বিসিবির পূর্ণ সহযোগিতা পেলে দলকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।”
আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতার অভাবের বিষয়ে সিমন্স বলেন, “আমি মনস্তাত্ত্বিক কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছি না। আসল সমস্যা হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমরা খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে কাজ করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বাইরের আলোচনা নয়, মাঠের পারফরম্যান্সই মূল কথা।”
সিমন্স মনে করেন, বিসিবির সমর্থন পাওয়া গেলে দলের সাফল্য সহজ হবে। তিনি বলেন, “বোর্ডের সঙ্গে আমার ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তারা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবে, যা কোচিং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।”

আরও পড়ুন: আয়েশার কণ্ঠে স্বস্তি, “আল্লাহর রহমতে ভালো আছে তামিম”
আগামী সিরিজগুলোতে কেমন দল দেখা যাবে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিভা আছে। আমাদের কাজ হলো তাদের সঠিকভাবে প্রস্তুত করা। আমার লক্ষ্য দলকে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।”
সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ দল কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটাই হবে সিমন্সের পরিকল্পনার বাস্তবায়নের আসল পরীক্ষা।