সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর অনেকেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কথা উঠেছে উইকেটের সুবিধা কেনো নেওয়া হয়নি এ নিয়েও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একচুলও নড়েননি নিজের অবস্থান থেকে। তার ভাষায়, ‘ভালো টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দরকার ট্রু উইকেট।’ তাই ম্যাচ হেরে গেলেও, স্পোর্টিং উইকেটেই খেলার পক্ষে দৃঢ় বিশ্বাসী তিনি।
হারের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, “উইকেট খুব ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানদের সুযোগ যেমন ছিল, বোলাররাও কিছু পেয়েছে। আমি মনে করি, এমন উইকেটেই খেলা উচিত। হারটা আমাদের বাজে পারফরম্যান্সের ফল, উইকেটের নয়।”
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের দলে ডাক পেলেন বিজয়
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে টানা সিরিজ হারের মুখ দেখছে বাংলাদেশ— দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা আর এবার জিম্বাবুয়ে। প্রত্যেকবারই প্রশ্ন উঠেছে হোম অ্যাডভান্টেজ না নেওয়া নিয়ে। কিন্তু শান্তর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই আলাদা।
“হোম অ্যাডভান্টেজ মানেই যদি স্পিনিং বা একতরফা উইকেট হয়, সেটা আমার পছন্দ না। আমি বরং এমন উইকেট চাই, যেখানে দুপক্ষের জন্যই সমান সুযোগ থাকে। এতে দলের উন্নতিও হবে”— ব্যাখ্যা দেন তিনি।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? শান্তর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উইকেট নয়, সমস্যা মানসিকতায়। তিনি বলেন, “আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, অনেকটাই সফট ডিসমিসাল ছিল। খুব একটা ভয়ঙ্কর বোলিংয়ের বলেই যে উইকেট গেছে, তা নয়। আমার মনে হয়, এখানে স্কিলের চেয়ে মেন্টাল পারফরম্যান্সটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ছাড়াও মুশফিক দলকে অন্যভাবেও সাহায্য করেন: শান্ত
সিরিজে এখন ১-০তে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে। শান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কন্ডিশন নয়, নিজেদের দায় স্বীকার করে ঘুরে দাঁড়াতেই মনোযোগ তাদের।
আত্মবিশ্বাস আছে, কথার পেছনে আছে যুক্তিও। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়— এমন আত্মবিশ্বাসী শান্ত কি পারবেন টাইগারদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে?