বিকেএসপির ৪ নং মাঠে দেখা সৌম্য সরকারের ঝড়। লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের এই ব্যাটারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৩৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানো রুপগঞ্জ পরবর্তীতে অগ্রণীর বিপক্ষে ১০৩ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন রুপগঞ্জের দুই ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান। এই দুই ওপেনারের কল্যানে ওপেনিং জুটিতেই ৮১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ। যদিও এরপর দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এই দুই ওপেনার। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সমান ৪৩ রান। তবে তানজিদ মাত্র ৩৩ বলে ৪৩ করলেও সাইফ হাসান ৪৩ রান করতে খেলেন ৬১ বল।
আরও পড়ুন: রিশাদের জন্য রশিদকে মিস করছেন না শাহীন আফ্রিদি

এরপর মেহেদী মারুফ ও সৌম্য সরকার মিলে দলের হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে এই দুইজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রানের জুটি। জাহিদ জাভেদের বলে ২৪ রান করে মেহেদী মারুফ আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন সৌম্য সরকার।
শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক পার্টনারশীপ গড়েন। যেখানে শেষ পর্যন্ত ১১২ বলে ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্য পাশে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আর নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৩৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় অগ্রণী ব্যাংকেরও। মাত্র ৪.২ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান তুলে ফেলে তারা। তবে এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ৬ বলে ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা। অমিত ১৮ রান করে আউট হলেও ইমরানুজ্জামানের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্টের মাঝপথেই নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু

এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও শুভাগত হোম মিলে দলের হাল ধরেন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৪ রান। তবে ২৩ রান করে ইমরুল কায়েসের আউটের পর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় ৩৯ করা শুভকেও।
শেষ পর্যন্ত এক মার্শাল আইয়ুবের ৭৪ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো কিছুই করতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৪৩.১ ওভারেই ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন সাইফ হাসান। এছাড়া ২টি করে উইকেটের দেখা পান রিজওয়ান, স্বাধীন ও টিপু সুলতান।