মাত্র কয়েক দিন আগেই ক্রিকেট বিশ্বের চোখে বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। ১৪ বছর বয়সেই গুজরাটের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে রাতারাতি তারকায় রূপ নেন তিনি। কিন্তু যত দ্রুত আলোয় এসেছিলেন, ততটাই হঠাৎ ছায়ায় ঢেকে গেলেন। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট, সেঞ্চুরি থেকে একেবারে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেন।
আরও পড়ুন: রাজস্থানকে ১০০ রানে হারিয়ে শীর্ষে মুম্বাই
এই উত্থান-পতনের পর এখন প্রশ্ন উঠছে— কীভাবে এমন হলো? কারও মতে, বয়সের তুলনায় অনেক বেশি প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ওপর। কারও মতে, শট নির্বাচনে ছিল ভুল। কিন্তু ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার একটু ভিন্ন চোখে দেখছেন বিষয়টি।

গাভাসকার বলছেন, প্রতিভা থাকলেও একজন তরুণকে নিয়ে হঠাৎ করে অতিরিক্ত মাতামাতি করাটা বিপজ্জনক। প্রশংসা করতে হবে ঠিকই, তবে সেই প্রশংসা যেন মাথায় চড়ে না বসে। বৈভব সূর্যবংশীর উড়ন্ত সূচনা নিয়ে আশাবাদী ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। তবে একসঙ্গে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি খানিকটা সতর্ক। জিও স্পোর্টস-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন, “ওর মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে, ও নিশ্চয়ই আরও উন্নতি করবে। দ্রাবিড়ের মতো অভিজ্ঞ কোচের সঙ্গে থাকলে ও দ্রুত শিখে যাবে কীভাবে পরিস্থিতি বুঝে ইনিংস গড়তে হয়। কিন্তু আমার মনে হয় না, এই বয়সেই তাকে অতিরিক্ত প্রশংসা করে আকাশে তুলে দেওয়া উচিত।”
গাভাস্কার আরও বলেন, “ডেব্যু ম্যাচেই প্রথম বলেই ছক্কা মারাটা সাহসের প্রতীক। কিন্তু সব সময় এমন মানসিকতা ধরে রাখা যাবে না। অভিজ্ঞ বোলাররা নিশ্চয়ই তার দুর্বলতা খুঁজবে। ও যদি প্রতি ম্যাচেই শুরুতে মারার চিন্তা করে, তাহলে এক সময় ওকে শর্ট বল বা চতুর লাইন–লেংথে ফাঁদে ফেলতে পারে। তখন যদি ব্যর্থ হয়, সেটা ওর আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলবে, চাপ বাড়াবে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ

গাভাস্কারের পরামর্শ, সূর্যবংশীর উচিত নিজের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে আরও কাজ করা, এবং মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি বুঝে খেলাটা শিখে ফেলা। প্রশংসা যেমন পাওয়া গেছে, সমালোচনার ঝড়ও আসবে। কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— এই দুইয়ের ভার সঠিকভাবে বহন করতে শেখা।