চট্টগ্রামের দ্বিতীয় টেস্টের সকালটা বাংলাদেশের দখলে। সকালের সেশনে এখনো পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
এর আগে দিনের শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আগের দিনের ৯ উইকেটে ২২৭ রানের সংগ্রহের সাথে নতুন করে কিছুই যোগ করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে সকালের একমাত্র উইকেট নিয়ে এই টেস্টে নিজের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের বৈভবের ইতিহাস গড়া শতকে পাত্তাই পেলো না গুজরাট

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল হক বিজয় দেখেশুনেই খেলতে থাকে। লাঞ্চের আগে সাদমান তুলে নেন ফিফটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ষষ্ঠ ফিফটি, বিদেশের মাটিতে গত বছর শেষ তিনটি টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ যে ম্যাচগুলো খেলেছে, তার প্রতিটিতেই ফিফটি করেছিলেন সাদমান। এমনকি শেষ টেস্টে, যেখানে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল, সাদমানের ৬৪ ও ৪৬ রানের দুই ইনিংসই জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল।। অন্যদিকে বিজয়ের সঙ্গে সাদমানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ ১০০ পেরিয়েছে। ২০২২ সালের পর এবারই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরোল টাইগাররা।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসে যবনিকা টানেন তাইজুল ইসলাম। আগের দিন ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা। তবে নতুন দিনে খেলতে হলো মাত্র এক বল— তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্লেসিং মুজারাবানি। ফলে ৬০ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ছিল ভালো। উদ্বোধনী জুটিতে বেনেট ও বেন কারানের ভালো শুরুর পর মিডল অর্ডারে নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস দলকে চালকের আসনে বসিয়ে রাখেন। তবে শেষ সেশনে তাইজুলের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম দিনে একাই ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেডিয়ামে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ
আর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুলের বলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর থেকেই দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান দলের ইনিংস টানছেন। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত সাদমানের রান দাঁড়িয়েছে ৬৬, অপরদিকে ৩৮ করে অপরাজিত আছে মন দীর্ঘ দিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়। যদিও প্রথম ইনিংসে এখনো ১২২ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।