চট্টগ্রামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৫ রান তুলে স্বস্তিতেই লাঞ্চে গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। তবে মধ্যাহ্নভোজের পরেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট— জিম্বাবুয়ে দ্রুত তুলে নেয় তিনটি উইকেট। তবুও সাদমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে এখনো ম্যাচে ভালো অবস্থানে রয়েছে টাইগাররা।

সকালে বল হাতে নেমেই সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। আগের দিন ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দিন শেষ করা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিন আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি। তাইজুল তুলে নেন নিজের ষষ্ঠ উইকেট, আর জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ২২৭ রানেই।
আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেডিয়ামে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করে দারুণভাবে। দুই ওপেনার সাদমান ও বিজয় দেখেশুনে খেলতে থাকেন। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৫ রান যোগ করেন তারা। এর মধ্যে সাদমান তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। টানা চারটি বিদেশি টেস্ট সিরিজে ফিফটি করার নজির গড়েন তিনি। এমনকি গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও বাংলাদেশের জয়ী টেস্টে তাঁর ৬৪ ও ৪৬ রানের ইনিংস ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

২০২২ সালের পর এই প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ভাঙে এই জুটি—৩৯ রান করে আউট হন এনামুল হক বিজয়। এরপর সাদমানের সঙ্গী হন মুমিনুল হক। এই অভিজ্ঞ জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরও ৭৬ রান।
কিন্তু চা বিরতির আগে হঠাৎ করেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুইটি জোড়া আঘাতে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একদিকে মুমিনুল, আরেকদিকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সাজঘরে ফেরেন সাদমানও। তবে এর আগেই ১৮১ বলের সাহসী ইনিংসে ১২০ রান করে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের বৈভবের ইতিহাস গড়া শতকে পাত্তাই পেলো না গুজরাট

শেষ পর্যন্ত তিন উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় সেশনে যোগ হয় আরও ১০০ রান, তবে হারাতে হয় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট। তবে সাদমানের ধৈর্যশীল ইনিংস আর উদ্বোধনী জুটির দৃঢ়তায় এখনো প্রথম ইনিংসে ভালো জায়গায় রয়েছে টাইগাররা। ক্রিজে অপরাজিত ব্যাটার হিসেবে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।