একটা সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ ছিলেন সাকিব আল হাসান৷ সাকিব ছাড়া একাদশ যেন কল্পনাই করা যেত না৷ এবার সেই সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই সাত মাস ধরে। সদ্য সমাপ্ত পিএসএল দিয়ে পুরোদমে মাঠে ফিরিছেন এই অলরাউন্ডার৷ ছন্দে থাকলে তাই আগামীতে বিসিবির বিবেচনায়ও থাকতে পারেন তিনি৷
বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি সাকিব টানতে চাইলেও নানা কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও রাখা হয়নি তাকে।
এরপর ইংল্যান্ডের সারেতে কাউন্টি ক্লাব খেলতে গিয়ে গত বছর সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। সব ধরনের ক্রিকেটে তাঁর বোলিং নিষিদ্ধ হয়। যার ফলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা হয়নি সাকিবের। জানুয়ারিতে দল ঘোষণার সময় বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এমনটাই জানিয়েছিলেন। বারবার পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হওয়া সাকিব পরীক্ষায় পাস করলেন মার্চে। সবশেষ তিনি খেলেছেন ২০২৫ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে।
আরও পড়ুন: বাইশগজে প্রত্যাবর্তন কেমন হলো সাকিবের
পিএসএলে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের ফেরা নিয়ে বিসিবির মিডিয়া ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম সেটাপ আছে… আর সাকিব তো প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট খেলল সংশোধনের পর। সে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। যেকোনো দলের জন্যই সে সম্পদ। তাই অবশ্যই আমাদের নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট সবার বিবেচনায় সব সময় থাকে।’
পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিন ম্যাচে ৮.১৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১ উইকেট। তবে দুই ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এমনকি গত রাতে পিএসএল ফাইনালে লাহোরের একাদশেও সুযোগ মেলেনি সাকিবের। তাকে আরও কয়েকটা ম্যাচ সুযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন মিঠু। বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘সাকিব যে ভুল শুধরে এল, এটাই তো প্রথম দুটি ম্যাচ খেলল। আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে দিন। তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: শিরোপা জিতে কত টাকা পেল সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের লাহোর
সাকিবের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন—তিন বাংলাদেশি এবার ছিলেন লাহোর কালান্দার্সে। তাদের মধ্যে মিরাজের কোনো ম্যাচই খেলা হয়নি। ৭ ম্যাচে ৯.৩৩ ইকোনমিতে রিশাদ এবারের পিএসএলে প্রথম খেলতে এসেই ১৩ উইকেট নিয়েছেন। সাকিব নিয়েছেন ১ উইকেট।