জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে আইপিএলের ৬৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দিল্লী ক্যাপিটালস এবং পাঞ্জাব কিংস। দুই দলের মধ্যকার এই ম্যাচটিই গত ৮ মে অনিবার্য কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি আবার অনুষ্ঠিত হয় ২৪ মে। বরাবরের মত এদিনও দিল্লীর একাদশে ছিলেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কান পেসার দুশমন্ত চামিরাকে বসিয়ে সুযোগ দেওয়া হয় আফগান ব্যাটার সেদিকুল্লাহ আতালকে। এই ম্যাচ দিয়েই আইপিএল অভিষেক করলেন সেদিক। আগের ম্যাচের মত এদিনও চোটের জন্য টস করতে আসেননি আক্সার প্যাটেল, তাই অধিনায়ক হিসেবে ফাফ ডু প্লেসিই আসরের শেষ ম্যাচে দিল্লীর দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: সাকিবে মুগ্ধ লাহোর মালিক, প্রশংসায় ভেসেছে মিরাজ-রিশাদও
টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ফাফ, ফাফের সিদ্ধান্তকে নিজের প্রথম ওভারে সঠিক প্রমাণ করেন মুস্তাফিজুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসেই উইকেট তুলে নেন ইন ফর্ম প্রিয়াংস আরিয়ার, এই উইকেট দিয়ে আইপিএলে মুস্তাফিজুর নিজের ৬৩তম উইকেট নেন, যেটি তাকে নিয়ে যায় সাকিবের সমান উইকেট সংখ্যায়।
আরও পড়ুন: সাকিবে মুগ্ধ লাহোর মালিক, প্রশংসায় ভেসেছে মিরাজ-রিশাদও
সাকিবের আইপিএল উইকেট ৬৩টি। মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারেও সুযোগ তৈরি করেছিলেন, তবে জস ইংলিসের কঠিন ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হয় স্বয়ং মুস্তাফিজুরই। ইংলিস ও প্রাভসিমরান জুটি পাঞ্জাবকে কিছুটা এগিয়ে নিলেও ভিপরাজ নিগাম এসে এই জুটিকে ফিরিয়ে দিল্লীকে ম্যাচে ফেরান। ১৬তম ওভারে আবারও দেখা মিলে মুস্তাফিজুরের, সেই ওভারে এসে শশাঙ্ক সিংকে ফিরিয়ে ৬৪ উইকেট নিয়ে সাকিবকে টপকে যান মুস্তফিজুর রহমান।
সাকিব কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে ৭ইনিংস বল করে ৬৩ উইকেট নেন, অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, রাজস্থান, দিল্লী ও চেন্নাই — ৫টি দলের হয়ে ৬০ ইনিংস বল করে ৬৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। মুস্তাফিজুরের এই রেকর্ডের দিনে পাঞ্জাব কাপ্তান শ্রেয়াস আইয়ার তুলে নেন এই আইপিএলে তার আরেকটি ফিফটি। শ্রেয়াসের ফিফটি ও স্টয়নিসের ক্যামিওতে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৬ রানে। শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর মার্কো ইয়ানসেনের উইকেট পেলে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।