কলম্বোর আকাশে নেমেছিল মেঘের ঘনঘটা। তবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মুখে তখনও ছিল আত্মবিশ্বাসের ঝিলিক। কারণ সিরিজ জিততে হলে তাদের আর কিছু করতেই হয়নি— প্রাকৃতিক বাধাই এনে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ৩-২ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগার যুবারা।
ছয় ম্যাচের সিরিজে প্রথমটায় হারলেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। পরের তিন ম্যাচ জিতে এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। পঞ্চম ম্যাচে হোঁচট খাওয়ায় শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায় অলিখিত ফাইনাল। তবে কলম্বোর ক্রিকেট ক্লাব মাঠে সেই ফাইনালটা পুরোপুরি খেলাই হলো না শেষ পর্যন্ত। আগে ব্যাট করে ভালো অবস্থানে পৌঁছেও থমকে যেতে হয় বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ভাতিজাকে খুঁজে পেতে রুবেলের আকুতি

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওপেনার জাওয়াদ আবরার ফিরেন শূন্য রানে। তবে সেই শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। কালামের বিদায়ের পর ইনিংসের ভার তুলে নেন আজিজুল। একপাশে রিজান হোসেনকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে।
ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছেও হতাশা সঙ্গী হয় আজিজুলের। ১১১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৯৪ রান করে থামেন তিনি, ছুঁতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত শতক। এরপর রিজান হোসেন (৪৮) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৫) ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন। স্কোরবোর্ডে তখন ৩৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৮ রান। ঠিক তখনই নামে বৃষ্টি, আর মাঠে গড়ায় না একটি বলও। খেলা আর শুরু না হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ফলে আগেই তিনটি জয় তুলে নেওয়া টাইগার যুবারা পায় সিরিজ জয়ের স্বস্তি। দলের সাফল্যের পাশাপাশি আলো ছড়িয়েছেন ব্যক্তিগতভাবেও কয়েকজন ক্রিকেটার। পুরো সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করে সর্বোচ্চ ৩০২ রান করেছেন জাওয়াদ আবরার। বোলিংয়ে ১২ উইকেট শিকার করে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন আল ফাহাদ।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের লিগে খেলতে গেলেন সাব্বির
সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে দারুণ ধারাবাহিকতায়, শৃঙ্খলিত পারফরম্যান্সে এবং ছন্দময় ব্যাট-বলের মেলবন্ধনে এক চমৎকার সিরিজ জয় তুলে নিয়েছে আজিজুলদের দল। এই জয় শুধু ট্রফি নয়, ভবিষ্যতের আত্মবিশ্বাসও গড়ে দেবে টাইগার যুবাদের।