ঘরের মাঠে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৪ রানে ম্যাচ হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও মিশেল মার্শ। ইডেন গার্ডেনে কলকাতার বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন এই দুই বিদেশি ওপেনার।

আরও পড়ুন: তাসকিন-এবাদত কেন নেই, ব্যাখা করলেন প্রধান নির্বাচক
১০.২ ওভারের ভেতরেই স্কোরবোর্ডে ৯৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। এরপর ২৮ বলে ২টি ছক্কা ও ৪টি চারের কল্যানে মার্করাম ঝড়ো ৪৮ করে রানার বলে আউট হয়ে গেলেও অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন আরেক ওপেনার মার্শ। দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে আরও ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ১৭০ রানে ব্যক্তিগত ৮১ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার আগে মার্শের ব্যাট থেকে আসে ৫টি ছক্কা এবং ৬টি চারের মার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৩৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান নিকোলাস পুরান। মাত্র ৩৬ বলে ৮টি ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। কলকাতার পক্ষে একাই ২ উইকেট নেন রানা।
২৩৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেও উদ্বোধনী জুটি বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২.৩ ওভারে দলীয় ৩৭ রানেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক।
আরও পড়ুন: ফুটবলার কার্লোস কাইজার- যিনি কখনও ফুটবলই খেলেননি
এরপর অধিনায়ক রাহানের সাথে জুটি গড়েন আরেক ওপেনার সুনীল নারাইন। এই জুটিতে আসে আরও ৫৪ রান। ১৩ বলে ২টি ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত ৩০ রান করে নারাইন আউট হয়ে যাওয়ার পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সাথে জুটি গড়েন অধিনায়ক রাহানে।

তবে ৩৫ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় রাহানের ৬১ এবং ২৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ভেঙ্কটেশের ৪৫ রানের পর কলকাতার আর কোনো ব্যাটার দলের পক্ষে বড় ভূমিকা রাখতে পারেননি। এক রিঙ্কু সিং শেষ দিকে চালিয়ে খেললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। কলকাতা মাত্র ৪ রানে হেরে গেলেও রিঙ্কু ১৫ বলে ৩৮ করেই অপরাজিত থাকেন। লক্ষ্ণৌর পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন যথাক্রমে শার্দূল ঠাকুর ও আকাশ দ্বীপ।