বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

জিতেশ ঝড়ে শীর্ষ দুইয়ে আরসিবি, বৃথা পান্তের শতক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর ১৮তম আসরের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ, লাখনৌয়ের একানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপচে পড়া ভিড়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে প্লে-অফের সমীকরণ। জয় পেলেই টপ টু নিশ্চিত করে ফেলবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। তবে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে হিসেব-নিকেশটা ভালোই গড়বড় করে দিল লাখনৌ সুপারজায়ান্ট (এলএসজি)। রীতিমতো আগুন ঝরানো ইনিংস খেলে তারা স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২২৭ রান, ৩ উইকেট হারিয়ে।

শুরুটা অবশ্য খুব একটা ধ্বংসাত্মক ছিল না। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আইপিএলে অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রিৎজকিকে হারিয়ে ফেলে এলএসজি। তবে এরপর উইলো হাতে ঝড় তোলেন মিচেল মার্শ ও ঋষভ পান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা তুলেন ১৫২ রান মাত্র ৭৮ বলে! মিচেল মার্শ এদিন তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০০০ রান পূর্ণ করেন। মার্শ ৩৪ বলে ৬৭ রান করে আউট হলেও পান্ত ছিলেন আরও বিধ্বংসী। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার হিসেবে আগের সব ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ৷ অধিনায়ক হিসেবে দলকেও খুব বেশি কিছু দিতে পারেননি। তবে নিজেদের এই আসরের শেষ খেলায় ব্যাট হাতে নেমে ৬১ বলে করেছেন ১১৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস! মারেন ১১টি চার ও ৬টি ছয়। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের উদযাপনটাও করলেন এক ভিন্ন ভঙ্গিমায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পাকিস্তান সিরিজে থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম

মার্শ ও পান্ত —এই দুই ব্যাটারের ইনিংসেই গতি পায় লাখনৌ রানের চাকা। শেষদিকে নিকোলাস পুরান ১৩ বলে ১৭ রান করে পান্তকে কিছুটা সঙ্গ দেন। যদিও পান্তের সঙ্গেই ৪৯ রানের জুটি ছিল মূল চালিকাশক্তি। ইনিংস শেষ হয় আবদুল সামাদের সঙ্গে পান্তের অপরাজিত ১ রানের জুটিতে।

বল হাতে রীতিমতো ভোগেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। একজন মাত্র বোলার—আরসিবির হয়ে অভিষিক্ত নুয়ান থুশারা ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ১ উইকেট, বাকিদের কেউই বল হাতে তেমন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দিতে পারেননি।

লাখনৌ এর এমন এক রানের পাহাড় দাঁড় করানোর পর টপ টু-তে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দারুণ শুরু করেন আরসিবির দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও ভিরাট কোহলি। দুজনই দুই অনন্য মাইলস্টোন স্পর্শ করে এদিন। ফিল সল্ট তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭০০০ রান পূর্ণ করেন। এদিকে কোহলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরসিবির হয়ে ৯০০০ রান পূর্ণ করেন। সল্ট ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হলে দুজনের ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে৷

আরও পড়ুন: পৃথিবীর যেকোনো দলকে হারাতে পারে বাংলাদেশ: লিটন

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে নামা রজত পাতিদার এদিন ৭ বলে ১৪ রান করেন, লিয়াম ফিরে যান গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে৷ মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে এরপর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাধেন কোহকি। তুলে নেন নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের ৬৩তম অর্ধশতক, ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়িয়ে এখন আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্ধশতকের মালিক বনে যান কোহলি৷ তবে অর্ধশতকের পর কোহলির ইনিংস লম্বা হয়নি, ৩০ বলে ৫৪ রান করে ফিরে যান কোহলি। কোহলির আউটের পর শঙ্কা জাগলেও অধিনায়ক জিতেশ শর্মা এসে মায়াঙ্কের সাথে জুটি বাঁধলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয় আরসিবি।

আইপিএল ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন আরসিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিতেশ শর্মা, তাও মাত্র ২১ বল মোকাবিলা করে। ৪৯ রানে আউট হয়ে গেলেও পরে জানতে পারেন, দিগভেশের বলটি ছিলো নো বল। এরপর আর জিতেশকে থামায় কে? ছক্কা মেরে অর্ধশতক পূরণ, দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন, করলেন ৩৩ বলে ৮৫!

শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিলো আরসিবি।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর