পাকিস্তান সুপার লিগের(পিএসএল) আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেয়েছেন কলিন মুনরো ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ব্যাটার মুনরো ও মুলতান সুলতান্সের অধিনায়ক রিজওয়ানকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে৷
গত বুধবার(২৩ এপ্রিল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতান্সের মধ্যকার ম্যাচে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে৷ ম্যাচে
মুলতানের অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমদের একটি ইয়র্কার লেন্থের বল ঠেকিয়ে দেয়ার পর আম্পায়ারের দিকে চাকিংয়ের ইঙ্গিত করেছিলেন মুনরো। তার দাবি ছিল, পাকিস্তানের এই স্পিনার যে অ্যাকশনে বল করছেন তা অবৈধ।

পরক্ষণেই ক্ষুব্ধ হয়ে স্কয়ার লেগ আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনের দিকে এগিয়ে যান ইফতিখার। মুনরোর অভিযোগের কারণে ক্ষিপ্ত হন রিজওয়ানও। দুজনের মধ্যে তখন কথার লড়াই শুরু হয়। এরপর আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে সেই পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। তবে ম্যাচ শেষে দুজনকেই জরিমানা গুনতে হয়েছে৷
আরও পড়ুন: ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ
দুই খেলোয়াড়ই পিএসএলের আচরণবিধির ধারা ২.১৩ লঙ্ঘন করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী, মাঠে অন্য কোনো খেলোয়াড়, সহায়ক কর্মী, আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফারিকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করা নিষিদ্ধ।

এক্ষেত্রে বেঁচে গিয়েছেন ইফতিখার। ম্যাচের পর আম্পায়াররা তার বিরুদ্ধে কোনো বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ তুলেননি। ফলে বোলিং চালিয়ে যেতেও কোনো বাধা নেই পাকিস্তানের এই স্পিন অলরাউন্ডারের।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ পরিচয়ে আইপিএল খেলতে চান আমির
অবশ্য ইফতেখারের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দাবি তোলার জন্য মুনরোকে জরিমানা করা হয়নি, বরং রিজওয়ানের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণেই গুনতে হয়েছে জরিমানা৷ ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইফতিখারের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য কোনো শাস্তি পেতে হয়নি মুনরোকে। বরং রিজওয়ানের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাকে। এই ঘটনায় মুনরো ও রিজওয়ান দুজনেরই অপরাধ পেয়েছেন আম্পায়াররা।