বরাবরই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আবাহনী-মোহামেডানের লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। শনিবার (১২ এপ্রিল) ডিপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে এই দল। আর এই নিয়েই এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন আবাহনী ও জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া তিনি কথা বলেছেন লিটন-রিশাদ-নাহিদদের পিএসএলে খেলা প্রসঙ্গেও।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্ত বলেন, “প্রতিবছরই দুই দলের লড়াইয়ে আলাদা উত্তেজনা কাজ করে, এবারও সেইরকমই মনে হচ্ছে। দিনশেষে এটা শুধুই একটা খেলা। তবে আবাহনী-মোহামেডান মানেই দর্শকদের বাড়তি চাওয়া পাওয়া থাকবে। আশা করি, আগামীকালের (১২ এপ্রিল) ম্যাচ এমন জমজমাট হবে।”
আরও পড়ুন: নাসিরকে ফের জাতীয় দলে দেখতে চান সোহরাওয়ার্দী শুভ

এছাড়া এই দুই দলের লড়াই যেনো ফাইনালের আগেই আরেক ফাইনাল। যেখানে আবাহনী জিতে গেলে শিরোপা রেসেও বেশ এগিয়ে যাবে শান্ত বাহিনী। দলের অধিনায়ক বলেন, “আলাদা প্রেশার কাজ করছে না। এখনো টুর্নামেন্টে অনেক ম্যাচই বাকি আছে। আমরা এই ম্যাচটা অন্যান্য ম্যাচের মতো করেই দেখছি। বাড়তি কোনো কিছু চিন্তা আসছে না। আমরা একটা প্রসেসে এগিয়ে যেতে চাই। ভুল কম করতে চাই। আলাদা কোনো প্রেশার নিচ্ছি না।”
তাছাড়া শান্তর মতে, আগের মতো আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ে সেই উত্তেজনা নেই। মাঠেও তেমন দর্শক আসে না। যদিও কিছু সংখ্যক মানুষ এখনো খেলা দেখতে আসে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনো আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই উত্তেজনা থাকে। দর্শকরাও হয়তো থাকে। আমি আশা করবো, আগের মতো এই ম্যাচেও দর্শকের সংখ্যা বাড়ুক।”
ছোটবেলা থেকেই এই দুই বড় দলে খেলার ইচ্ছা ছিল শান্তর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, সেই সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আবাহনীর হয়ে খেলতে পারছি। পুরো ব্যাপারটা ইনজয় করছি।”
আরও পড়ুন: মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের খোলামেলা মন্তব্য

শান্তর মতে, ডিপিএল সকালে হয় বলেও দর্শক সংখ্যা একটু কমই হয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ডে-নাইট হলে হয়তো এই সংখ্যাটা বাড়তো।
এছাড়া জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়েও কথা বলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার মতে, এই সিরিজেও চ্যালেঞ্জ থাকবে।
আর তিন বাংলদেশি লিটন দাস, রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানার পিএসএলে খেলা প্রসঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “সত্যি বলতে, আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এ ব্যাপারে। ওরা সেখানে যাবে, খেলবে, এটা দারুণ ব্যাপার। আমি চাই বিসিবি এ ব্যাপারগুলোও সহজ করে দিক। দেশের হয়ে অবশ্যই খেলা আবশ্যক। তবে এ ধরনের খেলায় সুযোগ পেলে অবশ্যই খেলতে দেওয়া উচিত। আমি ওদের নিয়ে আশাবাদী।”