বয়সভিত্তিক দল থেকেই নানা কারণে আলোচিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় দলের জার্সিতে তার ব্যাটে ক্যারিশমা প্রদর্শিত না হলেও নিজের প্রতিভার জন্য কোচদের প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজের ব্যাটিংয়ে ধার এনেছেন, পরিণত হয়েছেন বেশ। তাই তো দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। নানা চড়াই-উতরাই, আলোচনা সমালোচনার পরে শান্তর অধিনায়কত্বে বেজায় খুশি টাইগার কোচ ফিল সিমন্স।
আজকের পত্রিকায় দেওয়া একান্ত আলাপচারিতায় নানা বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে নাজমুল শান্তকে নিয়ে এমনই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স।
আরও পড়ুন: রিয়াদ ডার্বিতে ফের রাজত্ব রোনালদোর
ক্যারিয়ারজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অনেক। তবে সমালোচনাও কম সহ্য করতে হয়নি তাকে। দলের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে সক্ষম হননি তিনি। তার নেতৃত্বেই সর্বশেষ দুইটি আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল সেমি ফাইনালে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ। সেই সুযোগ নষ্ট করার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখতে হয়েছে চূড়ান্ত ভরাডুবি। তবে যত সমালোচনাই হোক শান্তর অধিনায়কত্বে খুশি ফিল সিমন্স।
অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে।’
আরও পড়ুন: লাহোরে স্কুলের সময় বদলে যাচ্ছে পিএসএলের কারণে
তিনি আরও বলেন, ‘সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।’
এর আগে ২০২৪ এর অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সিমন্স। দলের সাথে কাজ করেছেন প্রায় ছয় মাস। এ বছরে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সিমন্সের সঙ্গে চুক্তি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে বিসিবি ফের চুক্তি বাড়িয়েছে দুই বছর। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন সিমন্স।