নাজমুল হোসাইন শান্তর পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক লিটন দাস৷ ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন তিনি। আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সম্ভাব্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নতুন করে অধিনায়কত্বের পথচলা শুরু করবেন লিটন। নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটনকে টেকনিশিয়ান মনে করেন বাংলাদেশের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন৷
আজ (রোববার) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। লিটনের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গ টেনে তাকে টেকনিশিয়ান উপাধি দিয়েছেন এই কোচ৷ অবশ্য এর পেছনে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি৷
সালাহউদ্দিন বলেন,‘লিটন খুবই ভালো টেকনিশিয়ান, ফিল্ড প্লেসমেন্ট এবং বোলারের শক্তি সম্পর্কে তার ভালো ধারণা আছে। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সে খুব ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে। টি-টোয়েন্টিতে কীভাবে ফিল্ড সাজাতে হবে, ব্যাটিং-বোলিং কাকে দিয়ে করাতে হবে, উইকেট এবং বোলারের ধরন বলেন, সবকিছু নিয়ে তার ভালো ধারণা আছে।’
আরও পড়ুন: পেছাতে পারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
সালাহউদ্দিনের চোখে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা মোটেও সহজ কাজ নয়৷ এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন এটা সালাউদ্দিন বা লিটনের কিছু নয়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মানে পুরো দেশেরই অধিনায়ক। এটা আমাদের মানতে হবে। আপনারা হয়তো অনেকেই ওকে অপছন্দ করেন। অনেকের হয়তো অধিনায়ককে দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হওয়া সহজ কাজ নয়। আপনারা বাইরে থেকে মনে করতে পারেন সহজ। তবে এটা অনেক কঠিন কাজ এবং এটার জন্য আমাদের সবাইকে সাপোর্ট করতে হবে।’
দলকে উদ্ধুদ্ধ করা থেকে শুরু করে মাঠের উপস্থিত বুদ্ধি ও পরিকল্পনা সাজানো– সবকিছুই লিটনের মাঝে দেখেন এই কোচ৷ তিনি বলেন,‘অধিনায়ক হওয়ার জন্য যেসব গুণ দরকার, দলকে উদ্বুদ্ধ করা, পরিকল্পনা ঠিক করা, আমি মনে করি এসব তার মধ্যে ভালোভাবেই আছে এবং সে চেষ্টা করছে এই দলটাকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়। কারণ একজন অধিনায়কই দলটা চালাবে। আমরা যারা বাইরে আছি বা যারা বোর্ডে আছেন, তারা কিন্তু দল চালাবে না। চালাবে লিটন, আমরা যারা বাইরে আছি তারা সবাই হেল্পিং হ্যান্ড। তাই তাকে সেই ফ্রিডমটা দিলে আমার মনে হয় সে ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো নিউজিল্যান্ড ‘এ’
লিটনকে অধিনায়ক হিসেবে যথাযথ সমর্থনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন,‘একজন লিডার কিন্তু বানানো যায় না, এটা সহজাত প্রবৃত্তি। সবাই লিডার হতেও পারে না। ক্যাপ্টেন্সি যখন কেউ করে, তখন সে পুরো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তার ওপর অনেক চাপ থাকে। তাকে সেই সমর্থনটা দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যারা মনে করেন, বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেয়া সহজ, তারা ভুলের রাজ্যে আছেন।’