পাকিস্তান সুপার লীগের দশম আসরের প্রথম ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হয়েছিল লাহোর কালান্দার্স ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইসলামাবাদের অধিনায়ক শাদাব খান। স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও লাহোর কালান্দার্সের একাদশে এদিন জায়গা হয়নি বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান সুপার লিগে আসছে প্লেয়ার ট্র্যাকিং টেকনোলজি
টস হেরে ব্যাট হাতে লাহোর কালান্দার্সের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেও আব্দুল্লাহ শফিক ছিলেন যেন নিঃসঙ্গ সৈনিক। ওপেনার ফখর জামান, মোহাম্মদ নাঈম—কারোর ব্যাটেই জ্বলে ওঠেনি আত্মবিশ্বাসের আলো। বিদেশী ড্যারাইল মিচেলও হয়েছেন ব্যর্থ। আরেক বিদেশী স্যাম বিলিংস প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রানের খাতা খুলার আগেই। সিকান্দার রাজা কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে ২১ বলে ২৩-এর বেশি এগোতে পারেননি। শুধু স্যাম বিলিংসই নয়, এদিন শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান জাহানদাদ খান ও নামিবিয়ান ডেভিড উইজাও। অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদিও ব্যাট হাতে করেন কেবল দুই রান।
লাহোর এর ইনিংসের সবচেয়ে বড় স্বস্তির নাম ছিল তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা আব্দুল্লাহ শফিক—৩৮ বলে ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। বাকিরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, শফিক তখন একাই লাহোরকে টেনে তোলেন ১৩৯ রানে। ইসলামাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ক্যারিবীয়ান অল-রাউন্ডার জেসন হোল্ডার, অধিনায়ক শাদাব নেন ৩টি উইকেট।

আরও পড়ুন: পিএসএলের মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি প্রকাশ
১৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড শুরুতেই ধাক্কা খায়। আমেরিকান ব্যাটার আন্দ্রিস গাউসকে ফেরান লাহোর এর বাঁহাতি স্পিনার আসিফ আফ্রিদি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি করেন শাহিবজাদা ফারহান এবং কলিন মুনরো। ফারহান ২৫ রান করে ফিরে গেলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সালমান আলী আঘাকে নিয়ে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে যান কলিন মুনরো। আসিফ আফ্রিদি ছাড়া বল হাতে ব্যর্থ ছিলেন সবাই, শাহীন আফ্রিদি ৪ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৩৮। হারিস রউফ একটি উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪ ওভারে ৩৪। কলিন মুনরো এদিন অর্ধশতক তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত মুনরো ও আঘার অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ১৪ বল হাতে রেখেই সহজ জয় পায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
স্কোরকার্ড:
লাহোর কালান্দার্স: ১৩৯/১০ (১৯.২ ওভার)
(শফিক ৬৬, হোল্ডার ৪/২৬, শাদাব ৩/২৫)
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড: ১৪৩/২ (১৭.৪ ওভার)
(মুনরো ৫৯*, সালমান ৪১*, আসিফ ১/১৫)
ফলাফল: ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ৮ উইকেটে জয়ী