বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

লাল বলের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত হারিস রউফ

সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার হলেও, লাল বলে এখনো পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেননি পেসার হারিস রউফ। তবে লাল বলের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার কোনো পরিকল্পনা যে তার নেই, সেটিই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৭ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করার পর সংবাদ সম্মেলনে লাল বল প্রসঙ্গে প্রশ্ন পান হারিস। জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্ন অনেকবার এসেছে— লাল বল, লাল বল! কে খেলতে চায় না? আমি তো অবশ্যই চাই খেলতে। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করে সময় ও সুযোগের ওপর।’

আরও পড়ুন: ২০০ রান টপকে যাওয়ার ফর্মুলা দিলেন সাকিব

হারিস রউফ আরও জানান, পাকিস্তান দলের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন সময়ে ঘরোয়া লাল বলের ম্যাচে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তার ভাষায়, ‘যখন আপনি পাকিস্তানের হয়ে সফরে থাকেন, তখন সেটি ছেড়ে তো আর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্প্রতি দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছেন বলে জানান এই গতি তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি সুযোগ পেলে এবং সময় পেলে অবশ্যই লাল বলের ক্রিকেট খেলি। এটা কখনো ভাবিনি যে আমি লাল বল খেলব না। তবে এটির জন্য প্রস্তুতি দরকার, শরীরকে প্রস্তুত করতে হয় লম্বা স্পেলের জন্য।’

এ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৫০টি ওয়ানডে ও ৮৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও মাত্র একটি টেস্ট খেলেছেন হারিস রউফ। সাদা বলে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থাকলেও লাল বলে পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে চান তিনি। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে নিজেকে নিয়মিত করে তুলতে পারেন কি না এই পেসার।

আরও পড়ুন: ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বৃথা সাকিবের প্রচেষ্টা, সিরিজ হার টাইগারদের

এছাড়া হারিস রউফ আধুনিক ক্রিকেটে পেসারদের বাস্তবতা, দলের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনো গ্রাউন্ড হোক না কেন, আমাদের বোলিং প্ল্যান সে অনুযায়ী তৈরি করতে হয়। নতুন বোলিং কোচ অ্যাশলে নফকের সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগছে। আমরা এখন ছোট ছোট বিষয়েও কাজ করছি, যেগুলো আগে হয়তো অবহেলা করতাম। এই ছোট পরিবর্তনগুলোই এখন ম্যাচে কাজে দিচ্ছে।”

পেসার হিসেবে মডার্ন ডে ক্রিকেটে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, “এখনকার ক্রিকেটে ব্যাটাররা যেমন আধুনিক ক্রিকেট খেলছে, তেমনি বোলারদেরও সে অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হচ্ছে। আমি মনে করি, পেসাররাই সবচেয়ে বেশি চাপে থাকে, ছুরির নিচে যেন পড়ে থাকি আমরা সবসময়। পিচ, মাঠের আকার— সবকিছুই ব্যাটারদের পক্ষে কাজ করে। আমাদের লক্ষ্য থাকে রান কম রাখা। আজকের দিনে ২০০ রান যেন নতুন ‘পার স্কোর’। এমনকি ছোট দলগুলোও ২০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। এখন আমাদের ভাবনায় থাকে, ১৭০-১৮০ রানেও কীভাবে লড়াই করা যায়।”

আরও পড়ুন: হেলমেট কাণ্ডে শাস্তি পেলেন তিন ক্রিকেটার

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর