২০২৫ আইপিএলের এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্স। এই দুই দলের মধ্যে জয়ী দল কোয়ালিফাই য়ার ২-এ মুখোমুখি হবে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। চন্দীগড় স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দেখালো একেবারে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং পারফরম্যান্স। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই তুলে ফেলে বিশাল ২২৮/৫ রান।
পুরো ইনিংসের নায়ক ছিলেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৫০ বলে ৮১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। ৯টি চার ও ৪টি ছয়ের ঝলকে গুজরাটের বোলিং আক্রমণকে নাস্তানাবুদ করে দেন। রোহিতকে সুযোগ দিলে রোহিত যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেন, তার প্রমাণ আবারও দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। পাওয়ারপ্লেতে দুটি জীবন পাওয়া রোহিত ঘুরিয়ে দিয়েছেন ইনিংসের মোড়।
আরও পড়ুন: সভাপতির দায়িত্বে কোনো টাইমফ্রেম নেই বুলবুলের, নিচ্ছেন না সম্মানি
রোহিতের সঙ্গে ইনিংসের শুরুর দিকেই জনি বেয়ারস্টো তাঁর আগ্রাসী মেজাজ দেখিয়ে মাত্র ২২ বলে ৪৭ রান করেন, যেখানে ছিল ৩টি চার ও ৪টি বিশাল ছয়। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২১৩.৬৪। রোহিতের সঙ্গে তাঁর ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল মুম্বাইয়ের ভিত্তি গড়ে দেওয়ার মূল চাবিকাঠি। উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ের জার্সিতে এটিই বেয়ারস্টোর প্রথম ম্যাচ।এরপর সূর্যকুমার যাদব নামেন আর নামার পরপরই তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৩ রান, যেটা মুম্বাইয়ের রানগতি ধরে রাখে। একইভাবে তিলক খেলেন মাত্র ১১ বলে ২৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এই মিডল-অর্ডার বিস্ফোরণ গুজরাটের বোলারদের দিশেহারা করে তোলে। শেষদিকে অধিনায়ক হার্দিক মাত্র ৯ বলে করেন ২২ রান, ৩টি ছয়ে ভর করে, তাদের ইনিংসে ভর করে মুম্বাই করে ২২৮ রান।
গুজরাটের পক্ষে বোলিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে সফল ছিলেন প্রসিধ, যিনি ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রশিদ খান কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন, ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান দেন।
মুম্বাইয়ের দেওয়া ২২৯ রানের টার্গেটে শুরুতেই অধিনায়ক শুভমন গিলকে হারিয়ে হোঁচট খায় গুজরাট। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি গড়ে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাই সুদর্শন, তবে হিট উইকেটের বলি হয়ে ১০ বলে ২০ করে ফিরে যান শ্রীলঙ্কান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে সাই সুদর্শন তার চলমান আইপিএলে আরো একটি অর্ধশতক তুলে নেন। তৃতীয় উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে মাত্র ৪৪ বলে ৮৪ রানের জুটি করেন সুদর্শন৷ ওয়াশিংটন ২৪ বলে ৪৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন জাসপ্রিত বুমরাহর এক দুর্দান্ত ইয়র্কারে। সাই সুদর্শনের ইনিংস থামে ৮০ রানে, ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলা সুদর্শন এদিন বল নেন মাত্র ৪৯টি।
আরও পড়ুন: শরিফুলের ইনজুরি, পাকিস্তানের পুঁজি ২০১
সুদর্শনের উইকেটের পর রাদারফোর্ড এবং তেওয়াতিয়া মিলে দলকে স্বপ্ন দেখায়। ১৮তম ওভারে বুমরাহ নিজের চার ওভার শেষ করে দিলে শেষ ২ ওভারে ৩৬ রান দরকার পরে। বুমরাহ তার বোলিং স্পেল শেষ করে ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে রাদারফোর্ডকে আউট করে মুম্বাইয়ের অবস্থান শক্ত করে ট্রেন্ট বোল্ট। শেষ পর্যন্ত ২০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কোয়ালিফাইয়ার ২ এ তাদের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস।