বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

রুশো-নাওয়াজের রেকর্ড জোড়া শতকে বড় জয় কোয়েটার

পাকিস্তান সুপার লিগের ২৬তম ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। এবারের পিএসএল আসরের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুই দলের জন্যই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোয়ালিফাইয়ারের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য। টুর্নামেন্টের শুরুতে ধারাবাহিক জয় পাওয়া ইসলামাবাদ এখন হোঁচটের বৃত্তে আটকে, অন্যদিকে কোয়েটা ফিরে পেয়েছে তাদের চিরচেনা ছন্দ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও কোয়েটা এদিনও নিজেদের আগ্রাসী রূপ ধরে রাখে, আর তার ফলেই দেখা যায় ইতিহাস গড়া এক ব্যাটিং প্রদর্শনী।

কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের ইনিংসে যেন আ’গুন ঝরেছে! ব্যাট হাতে রীতিমতো ধ্বংস’যজ্ঞ চালিয়েছে হাসান নওয়াজ ও রাইলি রুশো। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে কুয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস তুলে ফেলেছে পিএসএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ—২০ ওভারে ২৬৩ রান!

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা হয় কিছুটা সাবধানীভাবে। শাকিল ১৮ বলে করেন ২৩ রান, আর ফিন অ্যালেন মাত্র ৫ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন। তবে এরপরই মঞ্চে আসেন রাইলি রুশো এবং হাসান নওয়াজ—আর গড়েন এক মহাকাব্যিক জুটি। তাদের ১৩৪ রানের জুটিতে রেকর্ড গড়ে কোয়েটা। এদিন শুরুটা করেছিলেন আফ্রিকান ব্যাটার রাইলি রুশো।

আরও পড়ুন: আর্থিক জরিমানার তোপে মুম্বাই, সবচেয়ে বেশি পান্ডিয়ার

রুশো খেলেছেন বিধ্বংসী এক ইনিংস—মাত্র ৪৬ বলে ১৪ চার ও ৬ ছক্কার মারে তুলে নেন ১০৪ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার নবম সেঞ্চুরি; আর পিএসএলে তৃতীয়। অন্যদিকে, হাসান নওয়াজও কম যাননি। ৪৫ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার ও ৯টি বিশাল ছক্কায় তিনি করেন অপরাজিত ১০০ রান!

শেষদিকে নাওয়াজ শতক তুলে নিলে পিএসএল তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এক ইনিংসে দুই শতক দেখলো। তাদের এই জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় কোয়েটা। শেষদিকে মার্ক চ্যাপম্যানও ৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ঝড়ো ১৩ রান।

২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে রিকোয়ার্ড রানরেটের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয় ইসলামাবাদের ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত আনে কোয়েটার পেসার মোহাম্মদ আমির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে কাইল মায়ার্স। পঞ্চম বলে ফর্মে থাকা শাহিবজাদা ফারহানও এদিন করেন কেবল এক রান৷ এরপর সবার আসা যাওয়ার মিছিল অব্যহত থাকে, এক পর্যায়ে ২৬৪ রানের লক্ষ্যে নামা ইসলামাবাদের ৬৮ রানেই পড়ে যায় ৮ উইকেট।

আরও পড়ুন: ব্রুকের পরিবর্তে দিল্লিতে সেদিকুল্লাহ, মায়াঙ্ক ফিরলেন বেঙ্গালুরুতে

সেখান থেকে নবম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিম ও বেন ডরশুইস মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে, যে প্রতিরোধ শুধু হারের ব্যবধান কমাতেই সাহায্য করে। দুইজনের ৫৩ রানের জুটিতে ইসলামাবাদের দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্ক স্পর্শ করে। বেন ডরশুইস আউট হলেও শেষ পর্যন্ত থাকেন ইমাদ ওয়াসিম। ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন পাকিস্তানি এই বাঁহাতি অল-রাউন্ডার।

শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদ ১০৯ রানে অল আউট হলে ১০৯ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোয়েটা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গাটা আরো শক্ত করলো কোয়েটা।

স্কোরকার্ড:

কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স: ২৬৩/৩

(রুশো ১০৪, নাওয়াজ ১০০*)

ইসলামাবাদ ১৫৪/১০

(ইমাদ ৫২, আমির ৩/৬)

ফলাফল: কোয়েটা ১০৯ রানে জয়ী

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর