পাকিস্তান সিরিজে ছন্দে না থাকলেও, ভবিষ্যৎ নিয়ে রিশাদ হোসেনের ওপর এখনও ভরসা রাখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে ছিলেন নিস্প্রভ, তার বাজে বোলিংয়ে বারবার চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। তবু তার সামর্থ্য, সম্ভাবনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতায় আস্থা হারাচ্ছেন না দলের হেড কোচ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে টাইগারদের। সাত উইকেটের পরাজয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল আশাব্যঞ্জক, ওপেনিং জুটি গড়েছিল শতরানের পার্টনারশিপ। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় রানের চাকা থেমে যায় ১৯৬ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান খুব একটা বেগ পেতে হয়নি— ১৬ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
আরও পড়ুন: হারিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
এই ম্যাচেই আরও একবার হতাশ করেছেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। পাকিস্তানের ইনফর্ম ব্যাটারদের বিপক্ষে তাঁর বোলিং হয়ে উঠেনি কার্যকর। সিরিজে তিন ম্যাচে তার বোলিং ফিগার যথাক্রমে— ১/৫০, ১/৫৫ ও ০/৩৯। পিএসএলে আলো ছড়িয়ে শিরোপা জেতা রিশাদের এমন পারফরম্যান্সে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁর ধারাবাহিকতা নিয়ে।
তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রিশাদকে সবার সামনে আগলে নিলেন কোচ সিমন্স। বললেন, ‘সে নিজেও জানে, এটা তার সেরা সিরিজ ছিল না। আমরাও জানি, সে এর চেয়ে অনেক ভালো করতে পারে। একটা খারাপ সিরিজ হতেই পারে, সেটা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। সে কাজ চালিয়ে যাবে এবং সামনে যেটা আসছে, সেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে।’
আরও পড়ুন: ওডিয়াই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ম্যাক্সওয়েল
রিশাদ হোসেনের এই ছোট্ট ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই দেখা গেছে উত্থান ও জনপ্রিয়তার ছোঁয়া। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ— সব জায়গায় নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে চলেছেন। ঠিক তখনই এলো এক অপ্রত্যাশিত ছন্দপতন। তবে কোচের বার্তা স্পষ্ট— একটা খারাপ সিরিজ মানেই কোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার থেমে যাওয়া নয়।
সমর্থকদের ভেতরে হতাশা থাকতেই পারে, তবে সিমন্সের দৃষ্টিতে রিশাদের সমস্যা সাময়িক। তরুণ এই লেগস্পিনারকে আবারও ছন্দে ফিরিয়ে আনতেই এখন মনোযোগ কোচিং স্টাফের। এই অভিজ্ঞ কোচ জানেন, সাম্প্রতিক সময়ে পিএসএলে ১৩ উইকেট নেওয়া রিশাদের সামর্থ্য আছে, চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করার শক্তিও আছে— শুধু দরকার সময় ও আস্থা।
আরও পড়ুন: শ্রেয়াস আইয়ার: তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ফাইনালে নেওয়া অধিনায়ক