পাকিস্তান সুপার লীগের চতুর্থ ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হয়েছিল রিশাদ হোসেনের লাহোর কালান্দার্স ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কোয়েটার অধিনায়ক সাউদ শাকিল। লাহোর কালান্দার্সের একাদশে এদিন ছিলেন বাংলাদেশের লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে অষ্টম বাংলাদেশী হিসেবে পিএসএল ম্যাচ খেললেন রিশাদ হোসেন।

আরও পড়ুন: রিতুর ব্যাটে টানা দুই জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে নাইমের উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার ফাখার জামান এদিন দুর্দান্ত খেলে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ফর্মে থাকা আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন ফাখার। শফিকের বিদায়ের পর ফাখারকে সঙ্গ দেন কিউই অল-রাউন্ডার ড্যারাইল মিচেল। তবে ড্যারাইল মিচেল ও ফাখার জামান দ্রুত আউট হয়ে গেলে একটু হোঁচট খায় লাহোর। ফাখার জামান এদিন ৩৯ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।তবে ফাখার আউট হওয়ার পর শুরু হয় স্যাম বিলিংস ঝড়। অন্যদিকে রাজা ও অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি আউট হয়ে গেলে শেষ ওভারে ৮ নম্বর ব্যাটার হিসেবে নামে বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। অবশ্য রিশাদ সুযোগ পান কেবল ১ বল, সেই বলে সিঙ্গেল নিলে পরপর দুই ছক্কায় ইনিংস শেষ করেন স্যাম বিলিংস। স্যাম এদিন ১৯ বলে ৫০ রান করে এবারের পিএসএল আসরের দ্রুততম অর্ধশতক পূর্ণ করেন, এই ইনিংসের সুবাদেই লাহোরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৯ এ। কোয়েটার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন এবং আবরার আহমেদ।
২২০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটা শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদির পেইসে কুপোকাত হয় কোয়েটার টপ অর্ডার। ৯ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট পড়ে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় কোয়েটা। তবে সেখান থেকে শুরু হয় কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে রাইলি রুশোর কাউন্টার অ্যাটাক।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন৷ লাহোরের হয়ে খেলা এই স্পিনার প্রথম ওভারে দেন ৭ রান দিলেও থাকেন উইকেটশূন্য। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে করে দেন বাজিমাত, বিপক্ষ দলের সেরা ব্যাটার রাইলি রুশোকে টপ স্পিন দিয়ে বোল্ড করে ফেলেন রিশাদ।

আরও পড়ুন: রিশাদবিহীন লাহোরকে হারিয়ে পিএসএলে দারুণ শুরু ইসলামাবাদের
এরপর রাজা এসে এক ওভারে দুই উইকেট নিলে ম্যাচ জিতা লাহোরের সময়ের ব্যাপার ছিল। শেষ ওভারে এসে আবার রিশাদ চমক, আমীর ও আবরারকে আউট করে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে অভিষেকটা রাঙ্গান রিশাদ। শেষ পর্যন্ত কোয়েটা অল-আউট হয়ে গেলে আসরের প্রথম জয় পায় লাহোর।
স্কোরকার্ড:
লাহোর কালান্দার্স: ২১৯/৬ (২০ ওভার)
(ফাখার ৬৭, বিলিংস ৫০, আবরার ২/৩৩)
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস: ১৪০/১০
(রুশো ৪৪, রিশাদ ৩/৩১)
ফলাফল: লাহোর ৭৯ রানে জয়ী