অবশেষে আইফোন জিতলেন বাংলাদেশের রিশাদ। চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নিজেদের প্রতি ম্যাচ শেষেই দলের সেরা পারফর্মারকে ‘আই ফোন প্রো ১৬’ উপহার দিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। যেখানে কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠার পর চার ক্রিকেটারকে এই মহামূল্যবান পুরষ্কার দিয়েছে দলটির মালিক সামিন রানা। যার মধ্যে একজন ছিলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
পিএসএলের প্রথম ভাগে লাহোরের হয়ে খেললেও পরবর্তীতে লিগ স্থগিত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন রিশাদ। যদিও প্লে-অফকে সামনে রেখে ফের তাকে দলে ভেড়ানো হয়। কিন্তু, এলিমিনেটরের ম্যাচে বেঞ্চে বসেই দলের জয় দেখেছেন এই লেগ স্পিনার। তবে কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার উপরই ভরসা করে লাহোর ম্যানেজমেন্ট। যার প্রতিদানও তিনি দেন। প্রথম ব্যাট হাতে শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে এক চারে দলের সংগ্রহ ২০০ পেরোতে সাহায্য করেন। পরবর্তীতে বল হাতেও বাজিমাত করেন এই লেগ স্পিনার।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যা দরকার তাই করবো: রিশাদ

বোলিংয়ে এসে প্রথমেই ফেরান ভয়ংকর হয়ে উঠা সালমান আগাকে। এরপর একই ওভারে ফেরান ইসলামাবাদের অধিনায়ক শাদাব খান ও অলরাউন্ডার জিমি নিশামকে। আর রিশাদের স্পিন ভেলকিতে ভেঙে যায় ইসলামাবাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত ৯৫ রানের বড় জয়েই ফাইনালে উঠে রিশাদ হোসেনের লাহোর কালান্দার্স।
ম্যাচ শেষে মোট চার কালান্দার্সের ক্রিকেটারকে আইফোন পুরষ্কার দেন সামিন রানা। তারা হচ্ছেন, লঙ্কান কুশাল পেরেরা, পাকিস্তানি সালমান মির্জা ও ব্যাটার নাঈমকে। এরপরেই তার প্রশংসায় ভাসে বাংলাদেশের রিশাদ। সাথে প্রথমবারের মতো চলতি পিএসএলে আইফোনও পান এই লেগ স্পিনার।

রিশাদকে উদ্দেশ্য করে লাহোরের মালিক সামিন রানা বলেন, ‘রিশাদকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। আপনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন। যেভাবে নিশাম, সালমান এবং শাদাবকে আউট করেছেন, যারা স্পিনেও খুব ভালো। আজকের আইফোন আপনার জন্য।’
আরও পড়ুন: হামজার শেফিল্ডের সামনে ৩৬৫ কোটি টাকার হাতছানি
এছাড়া সামিন রানা আরও বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ একই সাথে পুরো দলেরও ক্রিকেটাররা রিশাদকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।