“শেন ওয়ার্ন, আদিল রশিদ, চাহাল তো আছেনই, তবে আমি বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনের বোলিংও দেখি, শেখার চেষ্টা করি।”
চোখেমুখে একরাশ উচ্ছ্বাস, গলায় টাটকা অভিজ্ঞতার রেশ— জিম্বাবুয়ের তরুণ লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসাকেসা যখন বলছিলেন কথাগুলো, তখনই বোঝা যাচ্ছিল— এতদিন তিনি শুধু প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এবার এসেছেন নিজেকে প্রমাণ করতে।
প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই চট্টগ্রামের স্পিন সহায়ক উইকেটের পুরোটাই যেন কাজে লাগিয়ে ফেললেন। বাংলাদেশের ইনিংসে যখন উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ১১৮ রান, তখন মনে হচ্ছিল বড় কিছু অপেক্ষা করছে। ঠিক তখনই ছন্দপতন ঘটালেন মাসাকেসা। ফিরিয়ে দিলেন শান্ত, জাকের আর নাঈমকে।
৩ উইকেট নিয়ে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে মাসাকেসা জানান, “আসলে ভাবিনি এত দ্রুত উইকেট পেয়ে যাব। প্রথম উইকেটটা পাওয়ার পর কাজটা সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারা অনেক বড় সম্মান। আমি দারুণ খুশি।”

আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির পরও সাদমানের আক্ষেপ: ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত
তাঁর বোলিং আদর্শের তালিকায় যেমন রয়েছে বিশ্বখ্যাত সব নাম, তেমনি রয়েছে বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনও— এতদিন বাংলাদেশই যেখানে লেগ স্পিনার খুঁজে হাপিত্যেশ করেছে, সেখানে এক ভিনদেশি তরুণ স্বীকার করছেন যে, রিশাদকে অনুসরণ করেন তিনি। এটাই যেন দেশের স্পিন সম্ভাবনার নতুন স্বীকৃতি।
মাসাকেসা বলেন, “আমি সব সময়ই লেগ স্পিন পছন্দ করি। গ্রায়েম ক্রেমার, জাম্পা, চাহাল কিংবা রশিদদের বল দেখি। বাংলাদেশের রিশাদও দারুণ করছে। ওকে দেখেও আমি শিখি।”
আজকের দিনে তাঁর বোলিং ছিল এক কথায় নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলী। ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭০টির বেশি উইকেট নেওয়া মাসাকেসার অভিষেকটাও হল স্বপ্নময়।
এছাড়া উইকেট নিয়ে মাসাকেসা বলেন, “দিন শেষে মনে হয়েছে, স্পিনারদের জন্য উইকেট ধীরে ধীরে সহায়ক হয়ে উঠছে। আমাদের সঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে, আর ধৈর্য ধরে খেলতে হবে। তাহলেই ফল আসবে।”
আরও পড়ুন: বড় লিডের প্রত্যাশা সাদমানের

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সিলেটে প্রথম ম্যাচে জিতে ১-০তে এগিয়ে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামের এই ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরতে হলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও শক্তভাবে ব্যাট করতে হবে— তবে টাইগারদের সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে একজন মাসাকেসাই।