ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানো ম্যাচে রাকিবুল ইসলাম ও তোফায়েল আহমেদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল আকবর আলীর দল৷
সোমবার (১২ মে) রাজশাহীর শহীদ এ. এইচ. এম কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের ৩০২ রানের জবাব দিতে নেমে ২ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ৷ ম্যাচের ৪৯ তম ওভারে রাকিবুল ও তোফায়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ রান তোলে টাইগাররা। এতেই ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ৷ শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল কেবল ৭ রান৷ ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ৷ ২০ বলে ২৭ রান করেন তোফায়েল ও ১০ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রাকিবুল৷
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশও চোখে চোখ রেখে ব্যাট করতে থাকে৷ ৯ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান এনে দেন জিসান আলম ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। ২৭ বলে ৩১ রান করে জিসান ফেরেন সাজঘরে। দলীয় ৯১ রানে ৩৫ বলে ১৭ রান করে প্রীতম কুমার বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন রবিন ও আরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: অধিনায়ক লিটনকে ‘টেকনিশিয়ান’ উপাধি দিলেন কোচ সালাহউদ্দিন
অর্ধশতক তুলে নেওয়া রবিন মাত্র ১৩ রানের জন্য পাননি শতকের দেখা। ৮৯ বল মোকাবেলা করে ৮৭ রানে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি হাঁকান আটটি চার ও দুটি ছক্কা। তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন আরিফুল। তবে ৬৮ বলে ৩৬ রান করে তিনিও বিদায় নিলে দল চাপে পড়ে যায়।
তবে জয়ের আশা তখনো জিইয়ে রাখেন অধিনায়ক আকবর আলী। ক্রিজে নেমে ২৪ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনি বল ও রানের ব্যবধান কমান। দলীয় ২৭৩ রানে বিদায় নেন তিনিও। তখন তোফায়েল আহমেদ ও রাকিবুল হাসানের ক্যামিও ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের৷
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩০১ রানে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারীদের হয়ে কনোর বইড সর্বোচ্চ ৭১ এবং এনড্রিল ওয়াসটিন ৬১ রান করেন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ৩৯ রানে, নবম ওভারে। এর পরের উইকেট তুলে নিতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০তম ওভার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
মাহফুজুর রহমান রাব্বি প্রথম উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় আঘাত হানেন আহরার আমিন পিয়ান, প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জর্জ মারথিনাস ভন হারডিনকে ফিরিয়ে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিকা ইল প্রিন্সকে সাজঘরের পথ দেখান রাকিবুল হাসান। পিয়ানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রানের খাতাই খুলতে পারেননি অ্যান্ডিলে চার্লস মোগাকেন।
চাপের মুখে প্রোটিয়াদের হয়ে লড়ছিলেন ডিওয়ান মারাইস। তবে ৩১ রান করে রিপন মণ্ডলের শিকার হন তিনি। কনোর বইড ইস্টারহুইজেন তখন একাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। ৬৯ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ৭১ রান। শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলা অ্যান্ডিলে অস্টিন সিমেলানের তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের হয়ে এদিন সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রিপন মন্ডল, ৮৪ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়াও আহরার পিয়ান নিয়েছেন ২ উইকেট।