“এই হারের পুরো দায়ভার আমার”— ম্যাচ শেষেই এমন অকপট স্বীকারোক্তি দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনটা শুরু হয়েছিল অনেক সম্ভাবনার গল্প নিয়ে, কিন্তু ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা রূপ নেয় হতাশার কাহিনিতে। দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্ত যেভাবে উইকেট ছুড়ে দিলেন, তাতেই যেন শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের সব প্রত্যাশা।
সকালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৯৪। সেখান থেকে দল গুটিয়ে যায় মাত্র ৬১ রানে, থামে ২৫৫ রানে। ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৩ উইকেট হাতে রেখে। অথচ গত চার বছরে কোনো টেস্ট জয়ের দেখা পায়নি তারা। সেই দলের কাছেই হেরে হতবাক পুরো ক্রিকেটপাড়া।
আরও পড়ুন: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ম্লান বিজয়ের শতক, জয় পেলো আবাহনী

এই হতাশার পর শান্ত জানালেন, “ব্যাট হাতে আমি যে ভুল করেছি, সেটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। ওই সময় একটা জুটি গড়তে পারলে লিডটা হয়তো ২২০ হতো। তখন হয়তো ম্যাচের দৃশ্যপটটাই বদলে যেত।”
ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলকে অযথা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। বলটাতে শট খেলার প্রয়োজন ছিল না— সেটা ভালো করেই জানতেন তিনিও। ম্যাচের পর বললেন, “সকালে একটু স্থির থাকলেই হয়তো গল্পটা অন্য রকম হতো। ম্যাচের আগেও সবাইকে বলেছিলাম, প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিজেই সেটা রক্ষা করতে পারিনি।”

আরও পড়ুন: রিয়াদ-হৃদয়ের অর্ধশতকে মোহামেডানের দাপুটে জয়
মেহেদী মিরাজ তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট, তাইজুল চেষ্টা করেছেন সাধ্যমতো। কিন্তু ১৭৪ রানের লক্ষ্যটা এই পিচে যথেষ্ট ছিল না। লড়াই জমাতে হলে দরকার ছিল বড় লিড, আর তার ভিত্তি তৈরি হওয়ার আগেই ভেঙে যায় স্তম্ভ— নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই।
সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন সামনে। ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচে শান্তর সামনে থাকবে শুধু ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর নয়, নেতৃত্বেও দলকে এগিয়ে নেওয়ার বড় দায়িত্ব। কারণ এই মুহূর্তে শুধু একটি জয় নয়, প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া— নিজের মধ্যেও, দলের মাঝেও।