বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

মেসির সঙ্গে কোহলির তুলনা, নেপথ্যে যে কারণ

ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাড় ভক্ত ভিরাট কোহলি। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই ব্যাটার অনুসরণ করেন রোনালদোর লাইফ স্টাইলও৷ তবে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সদ্য শিরোপা জয়ের পর লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে তাকে। নেট দুনিয়ায় এ নিয়ে চলছে মাতামাতি। তবে এর নেপথ্যে জানা গেল যে কারণ। 

ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন  লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ব্যালন ডি’অর- কী ছিল না তার ঝুলিতে? জাতীয় দলের হয়ে অলিম্পিক, কোপা আমেরিকা জিতেছিলেন, শুধু ছিল না একটা বিশ্বকাপ। তবে সেই অপূর্ণতাও ঘুচে গেছে কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপে, মরুর বুকে শিরোপা নামক আরাধ্য উঁচিয়ে ধরে সব আক্ষেপ মিটিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মেসির ঠিক বিপরীত অভিজ্ঞতা হয়েছিল ভিরাট কোহলির। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শুরুতে ভারতের জার্সিতে জিতেছেন ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি- এক বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া আইসিসির বৈশ্বিক সব শিরোপাই তার জেতা হয়ে গিয়েছিল।

শুধু জিততে পারছিলেন না একটি আইপিএল শিরোপা। অদ্ভুত এক ব্যর্থতার চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন ১৮ বছর ধরে। অবশেষে মেসির মতো সেই শিরোপাও ধরা দিল ভিরাট কোহলির কাছে৷ আইপিএলের ১৮তম আসরের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত হতেই কেঁদে ফেলেন কোহলি। তারপর শুরু করলেন খ্যাপাটে উদযাপন। তিন বছর আগে মরুর বুকে ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে থাকা মেসিও তো এভাবে আনন্দে কেঁদেছিলেন।

আরও পড়ুন: এই দলই আমার আত্মবিশ্বাস’ —শিরোপা হাতে উচ্ছ্বসিত কোহলি

আইপিএলে সর্বাধিক রান (৮৬৬১), এক আসরে সর্বাধিকবার পাঁচশর বেশি রান (৮ বার), তৃতীয় সর্বাধিক আইপিএল ক্যাপ (২৬৭), ১০ বার আইপিএলের  প্লে-অফে খেলা, ৪টি ফাইনাল খেলা, সর্বাধিক ৮টি সেঞ্চুরি, সর্বাধিক ৬৩ হাফ সেঞ্চুরি, এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রান (২০১৬ সালে ৯৭৩) এবং সর্বাধিক বাউন্ডারি (৭৭১) – কোহলিকে আইপিএলে এমনিতেই অমর করে তুলেছিল। এবারের মৌসুমেও ফাইনালে ৪৩ রান করার পর তার রানের সংখ্যা ৬৫৭, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

জাতীয় দলের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতলেও আইপিএলের শিরোপাকেই শীর্ষে রাখতে চান কোহলি।

তিনি বলেন,‘সত্যি বলতে, এটা (শিরোপা) শীর্ষ কাতারেই থাকবে। যেটা বললাম, গত ১৮ বছরে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি। এই দলের প্রতি অনুগত থাকার চেষ্টা করেছি, যা কিছুই হোক না কেন। কিছু কিছু মুহূর্তে অন্যরকমও ভেবেছি। তবে শেষ পর্যন্ত এই দলকেই আঁকড়ে রেখেছি, তাদের পাশে থেকেছি, তারাও আমার পাশে থেকেছে। এই দলের হয়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্নই সবসময় দেখেছি। অন্য যে কোনো দলের চেয়ে এখানে জেতাটাই অনেক অনেক বেশি স্পেশাল, কারণ আমার হৃদয়, আমার আত্মা মিশে গেছে বেঙ্গালোরের সঙ্গে।’

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর