সিলেট টেস্টে বৃষ্টি বাগড়া, মিরাজের দুর্দান্ত ফাইফার কোনো কিছুই আটকাতে পারেনি বাংলাদেশের হার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটের হারের লজ্জা নিয়েই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা।
এর আগে টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যক্তিগত ৬০ রানে আউট হয়ে যান। মুজারাবানির দুর্দান্ত লেংথের বলে নিয়াউচির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি মেহেদী হাসান মিরাজও। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সৌম্যর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ১০৩ রানের জয় রুপগঞ্জের

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন জাকের আলি অনিক। একপ্রান্ত আঁকড়ে ধরে এই তরুণ ব্যাটার ১১১ বল মোকাবেলা করে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রান করে বিদায় নেন। বাংলাদেশও প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যায় ২৫৫ রানে। ফলে সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১৭৪ রানের। সফরকারীদের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি একাই নেন ৬ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করান তারা। এরপর মেহেদী মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে কারান আউট হলেও বেনেট তুলে নেন ফিফটি। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান।

এরপর শেষ বিকেলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে বাংলাদেশের বোলাররা। কিংবা, বলা যায় একজন মেহেদী মিরাজ। একে একে শিকার করেন আরও ৩ উইকেট। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
একপর্যায়ে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য যেখানে দরকার ছিল মাত্র ২৮ রান সেখানে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেট শিকার। এরপর মেহেদী মিরাজ তুলে নেন ক্যারিয়ারের আরও একটি ফাইফার। এরই সাথে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ তম উইকেট শিকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পিএসএলে তিন ম্যাচ খেলেই ফের রেকর্ড রিশাদের

তবে মিরাজের এই প্রচেষ্টাতেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন উইকেটের হার নিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
এই নিয়ে মোট ১৯টি টেস্ট খেলেছে দুই দল— বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮টিতে, জিম্বাবুয়েও জিতেছে সমান ৮টিতে। আর ৩টি থেকেছে নিষ্পত্তিহীন।