যে মিরাজকে একসময় ভাবা হতো শুধুই একজন স্পিনার, সময়ের সঙ্গে সেই পরিচয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। এখন তিনি দলের জন্য একজন পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার— যার কাঁধে ভরসার ছায়া। ব্যাট হাতে যেমন লড়াইয়ে নামেন, তেমনি বল হাতে গড়ে দেন পার্থক্য। সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া সেই মিরাজই জানালেন, তিনি এখানেই থেমে থাকবেন না। প্রতিনিয়ত উন্নতি করার লক্ষ্যই তার একমাত্র পথ।
“দুই দিক থেকেই অবদান রাখতে চাই,” সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন মিরাজ। “ব্যাটিং নিয়ে গত ২-৩ বছর ধরে আলাদা ফোকাস দিয়েছি। কোথাও কোথাও উন্নতি হয়েছে, কোথাও এখনও বাকি আছে। তবে আমি জানি, এই পথেই এগিয়ে যেতে হবে।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কঠিন বাস্তবতায় টিকে থাকতে গেলে বদল আনতে হয় নিজেকেই— এই কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি। “যখন নতুন কেউ খেলে, তাকে নিয়ে কম তথ্য থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সবাই দুর্বলতা বের করে ফেলে। এখানে টিকে থাকতে হলে উন্নতি করতেই হবে।”
মিরাজের ব্যাটিং উন্নতির পেছনে আত্মবিশ্বাসের গুরুত্বও কম নয়। বললেন, “শুরুর দিকে যখন রান করতাম না, তখন নিজেও অনিশ্চিত থাকতাম, অন্যরাও কম ভরসা করত। কিন্তু রান করতে শুরু করার পর সবাই আমার ওপর আস্থা রাখে, আমিও রাখি।”

শর্ট বলে আউট হয়ে গেলেও সেটিকে দেখছেন শেখার সুযোগ হিসেবে। “শর্ট বলে আমিও রান করেছি। তবে হ্যাঁ, এটা কঠিন। এমন কোনো ব্যাটার নেই যে শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বল নয়। আমি হয়তো ছাড়তে পারতাম, করিনি। এটা একটা শিক্ষা। উন্নতির জায়গা আছে।”
আরও পড়ুন: মিরাজের ৫ উইকেটের রহস্য ‘গতি’
তবে এই দিনে কেবল নিজের বোলিং নয়, সতীর্থ পেসারদেরও আলাদা করে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। “আজ পেসাররা দুর্দান্ত করেছে। নাহিদ, হাসান আর খালেদ— ওদের সাপোর্ট করাই ছিল আমাদের কাজ। ওদের ভালো বলেই আমরা জিম্বাবুয়েকে থামাতে পেরেছি।”