বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো একজন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ২০১৬ সালে তামিম ইকবালের পর এবার সেই কীর্তির মালিক হলেন তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। শারজাহর ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ৫৪ বলে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই শেষ পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। কিন্তু তাতেও কাঙ্ক্ষিত স্কোর গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
ইমনের ব্যাট থেকে ঝড় ওঠার পরও ইনিংসের শেষ দিকে ছন্দপতন ঘটে। শেষ তিন ওভারে ব্যাটারদের নির্বিষতায় আসে মাত্র ২২ রান, যা ম্যাচ শেষে কিছুটা হতাশাই ছড়ায় অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে। যদিও পুরো দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি ছিলেন গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ইমনকে জয় উপহার দিলেন বোলাররা

ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় লিটন বলেন, “উইকেটটা একদমই ব্যাটিংয়ের পক্ষে ছিল। পারভেজ যে ধরণের ইনিংস খেলেছে, তা দারুণ উপভোগ্য। তবে ইনিংসের শেষটা আমাদের আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। শেষ তিন ওভারে আমরা কিছুই করতে পারিনি— সেখানেই মূল পার্থক্যটা তৈরি হয়েছে।”
যদিও ব্যাট হাতে শেষটা ভালো না হলেও, বল হাতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আমিরাত যখন রানের গতি বাড়াতে শুরু করে, তখন লিটনের আস্থা ছিল তাঁর বোলারদের ওপর। আর সেই আস্থার প্রতিদানও মিলেছে ২৭ রানের জয় দিয়ে।
লিটনের ভাষ্য, “মাঝের সময়টায় ম্যাচটা একেবারেই সমানে সমান ছিল। ওরা যেভাবে খেলছিল, মনে হচ্ছিল কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। কিন্তু আমি জানি, আমার বোলাররা যেকোনো সময় ম্যাচে ফিরতে পারে। তাদের সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এই কন্ডিশনে কীভাবে বল করতে হয়, সেটা বুঝে নিতে হবে আমাদের। কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। তবে সবার মধ্যে যে ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস দেখেছি, তা ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ইমনের জন্য ‘স্পেশাল’ সেঞ্চুরি
সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। সোমবার (১৯ মে) শারজাহতেই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। সেদিন হয়তো শেষের ঘাটতি পূরণ করেই সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইবে লিটনের দল।