জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজটির টিভি সম্প্রচারে ছিল অনিশ্চয়তা। দীর্ঘ সময় ধরে কোনো সম্প্রচার সত্ত্বধারী প্রতিষ্ঠান না পাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঠিক এমন এক সময় এগিয়ে এলো রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল— বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। দর্শকদের জন্য আশার খবর, বিনা খরচায় সিরিজটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিটিভির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবাই যখন সময় কিনে নেয়, তখন বিটিভি তাদের শিডিউল বদলে আমাদের জায়গা দিয়েছে— তাও আবার কোনো টাকার বিনিময়ে নয়। এটা বড় উদারতার পরিচয়।’
আরও পড়ুন: স্পেনের ‘ইপিএস’, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে ৫ দল

আর্থিক বাস্তবতায় চাপের মুখে ক্রিকেট বোর্ডগুলো বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বোর্ডগুলো অর্থনৈতিক চাপে ভুগছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয় বলে জানান বিসিবি সভাপতি। তাঁর ভাষায়, ‘সারা দুনিয়াতেই একটা মন্দাভাব চলছে। এমনকি আইসিসির ইভেন্ট সম্প্রচারে যারা যুক্ত, সেই জিও স্টারও আর্থিক সংকটে। স্পনসর জোগাড় করাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’
বিসিবি তাই চেষ্টা করছে ধাপে ধাপে সমস্যার সমাধান করতে। ফারুক আহমেদ জানান, শুধু বিটিভিতে নয়, সিরিজের বাকি অংশ আরও একটি চ্যানেলে সম্প্রচারের সম্ভাবনা আছে। তাঁর কথা, ‘আরও একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করছি। যদি এই ম্যাচে না পারি, পরেরটাতে হলেও সেখান থেকে সম্প্রচারের চেষ্টা করব।’

শুধু সম্প্রচার বা আয় নয়, বিসিবির নজর মাঠ ব্যবস্থাপনাতেও। ঢাকা সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা একাধিক মাঠ উদ্ধার করতে সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে খুশি বিসিবি সভাপতি। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ একটা উদ্যোগ। আমরা ছোটবেলায় স্কুল ছুটির পর মাঠে খেলতাম। এখনকার বাচ্চারা গ্যাজেটের দুনিয়ায় আটকে আছে। যদি আবার মাঠে ফেরানো যায়, সেটাই সবচেয়ে বড় জয়।’
আরও পড়ুন: নিগারদের লড়াইটা শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে নয়, সমীকরণের সঙ্গেও!
এছাড়া বিসিবি সভাপতির মতে, এখনকার টিকিট বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিকল্পিত ও স্বচ্ছ। ‘আগে যারা ছিল তারা কষ্ট করেছে। এখন বিসিবির নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বছরে যদি ৫০ কোটি টাকাও আয় হয়, তাতে ক্রিকেটই লাভবান হবে।’