ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অভিষেকই খেল দেখিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বাশির রাতুল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এই ক্রিকেটার ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন। তার নৈপুণ্যেই রূপগঞ্জ ডার্বিতে ১৭২ রানে জয় পেয়েছে লিজেন্ডস। ডিপিএল এর অষ্টম রাউন্ডের শেষ দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটে করে ৬ উইকেটে ২৯৮ রান করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ওপেনার তানজিদ তামিম ৫৯ বলের ১১ চারের সাহায্য করেন ৬১ রান। জাকের আলী ৮৫ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। আর তরুণ রাতুল ৩৪ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৪০ রান।
পরে রাতুলের ঘূর্ণিতে ১২৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় টাইগার্স। ১০ ওভারে ২৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। টাইগার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাটে।
রুপগঞ্জ টাইগার্স ও লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ ম্যাচের স্কোরকার্ড:
লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ: ২৯৮/৬
(জাকের ৭৩*, তানজীদ ৬১, হুসনা হাবীব ২/৫৩)
রুপগঞ্জ টাইগার্স: ১২৬/১০
(আব্দুল মজিদ ৪৩, রাতুল ৫/২৭)
ফলাফল: লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ ১৭২ রানে জয়ী
আরও পড়ুন: শ্রেয়াস নৈপুণ্যে জয় দিয়ে শুরু পাঞ্জাব কিংসের
ডিপিএলের অন্য ম্যাচে লিটন দাসদের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ম্যাচে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ বলে ৮৩ রান করেন লিটন দাস। তবে তার সে ইনিংস জলে যায় এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে। স্বীকৃত ক্রিকেটের ক্যারিয়ারে এটি বিজয়ের ৪৯তম শতক। চলমান ডিপিএলে রান সংগ্রাহকের তাকিকায় শীর্ষেও এখন বিজয়, নাঈম শেখ আছেন ২ নম্বরে।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে লিটনের সে ইনিংসে চড়ে গুলশান ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান পর্যন্ত পৌঁছায়। জবাবে গাজী গ্রুপ ওপেনার এনামুল বিজয় খেলেন ১৪২ বলে ১৪৪ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৪ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় গাজী গ্রুপ। ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও বাগিয়ে নেন গাজী গ্রুপের এই অধিনায়ক।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ম্যাচের স্কোরকার্ড:
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ২৮১/৮
(লিটন ৮৩, আজিজুল তামিম ৫৩, বিপ্লব ২/৩৪)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ২৮৩/৬
(এনামুল ১৪৪*, ইলিয়াস ৩/৫৪)
ফলাফল : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪ উইকেটে জয়ী
আরও পড়ুন: তামিম খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন: উপদেষ্টা আসিফ
এদিকে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ২৯ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ম্যাচে আগে ব্যাট করা ব্রাদার্স ৯ উইকেটে করে ২২৫ রান করে। মিজানুর রহমান ৩৪ ও জাহিদুজ্জামান ৪৭ রান করেন। সোহাগ গাজী খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। জবাবে আলাউদ্দিন বাবুর ৪৬ বলে খেলা ৬৮ রানের লড়াকু ইনিংসের পরও ১৯৬ রানেই থামে পারটেক্স। ম্যাচসেরা হন ৩ উইকেট নেওয়া ব্রাদার্সের বোলার জায়েদ উল্লাহ।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও পারটেক্স স্পোর্টিং কাবের স্কোরকার্ড:
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ২২৫/৯
(জাহিদুজ্জামান ৪৭, সোহাগ ৪২, তানভীর ২/২৮)
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ১৯৬/১০
(আলাউদ্দিন ৬৮, জায়েদ ৩/২৪)
ফলাফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯ রানে জয়ী