পাকিস্তান সুপার লিগের ১৪তম ম্যাচে লাহোরে স্বাগতিক লাহোর কালান্দার্সের মুখোমুখি হয়েছিল বাবরের পেশোয়ার জালমি। লাহোর কালান্দার্স দলে আছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন, অন্যদিকে পেশোয়ার জালমিতে খেলেন বাংলাদেশের নাহিদ রানা। লাহোরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক বাবর আজম।
বাবরের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে পেশোয়ারের পেস বোলিং আক্রমণ। লুক উড এবং আলজারি জোসেফের বোলিংয়ে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে লাহোরের ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম উইকেট হিসেবে ফখর জামান ৮ বলে ১০ রান করে আউট হলে ১৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে লাহোরের। এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ১৫/০ থেকে মুহূর্তের মাঝে হয়ে যায় ৪৪/৬! টপ অর্ডার কিংবা মিডল অর্ডারে খেলতে আসা লাহোরের কোনো ব্যাটারই এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
৬ উইকেট পতনের পর অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। সিকান্দার রাজাকে সঙ্গ দিয়ে ২৩ রানের জুটি করেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ১৩ বলে ১৩ রান করে আলজারী জোসেফের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রিশাদ। রিশাদের এই ইনিংসে ছিল একটি চারের এবং একটি ছক্কার মার, দুটো বাউন্ডারিই এসেছিল হোসেন তালাতের বলে।

আরও পড়ুন: বাবর-গেইলকে টপকে কোহলির অনন্য কীর্তি
৬৭ রানে সাত উইকেট পড়ার পর লাহোর কালান্দার্স যখন দুশ্চিন্তায় ছিল ১০০ পার হবে কিনা, ঠিক তখনই দলের দায়িত্ব নেন ‘বার্থডে বয়’ সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কিংবদন্তি তার ৩৯তম জন্মদিনে পিএসএলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। তার ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই লাহোর করে ১২৯ রান।

আরও পড়ুন: ভারতের পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ
১৩০ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় পেশোয়ার জালমি। দলীয় সাত রানের মাথায় সাইম আয়ুব এবং ক্যাডমোর—দুজন ব্যাটারই আউট হয়ে যান। তখন একটা লো-স্কোরিং থ্রিলারের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে ৩৩ রান যোগ করেন বাবর। তবে বিশ রানে হারিস ফিরে গেলে বাবরের সঙ্গে জুটি করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন হোসেন তালাত। শেষ পর্যন্ত বাবরের ৪২ বলে ৫৬ রান এবং তালাতের ৩৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করে ২০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় পেশোয়ার জালমি। এই ম্যাচের পর লাহোর ও পেশোয়ার দুই দলই সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে।
বল হাতে রিশাদ হোসেন এদিন দুই ওভার বল করার সুযোগ পান এবং দুই ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। এদিকে পেশোয়ার জালমি দলে পরের ম্যাচেই যোগ দিবেন বাংলাদেশের গতিতারকা নাহিদ রানা।
স্কোরকার্ড
লাহোর কালান্দার্স: ১২৯/১০ (১৯.২ ওভার)
(রাজা ৫২, শাহীন ১৬, রিশাদ ১৩, আলজারি ৩/১৫, উড ২/২৫)
পেশোয়ার জালমি: ১৩৩/৩ (১৬.৪ ওভার)
(বাবর ৫৬*, তালাত ৫১*, শাহীন ২/২২)