অবশেষে জয়রথ থামলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরুর। ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছেড়েছে ভিরাট কোহলির দল।
ব্যাঙ্গালোরুতে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাটের অধিনায়ক শুবমান গিল। আর অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দ্রুতই দেন বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিরাট কোহলিকে ফেরানোর পর বেশিক্ষণ টিকেননি দেবদূত, সল্ট কিংবা অধিনায়ক রাজাত পাতিদারও।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন তামিম

এরপর পঞ্চম উইকেটে লিভিংস্টোন ও জিতেশ মিলে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এই জুটিতে ৫২ রান আসে। এরপর জিতেশ আউট হয়ে গেলে, মাঠে নেমে টিকতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটার ক্রুনালও। তবে টিম ডেভিডের ঝড়ো ১৮ বলে ৩২ রানের ক্যামিওর পাশাপাশি লিভিংস্টোনের ৫৪ রানের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরু। গুজরাটের পক্ষে একাই ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। এছাড়া ২ উইকেটের দেখা পান সাই কিশোর।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেও দলীয় ৩২ রানে অধিনায়ক গিলকে হারায় গুজরাট। এরপর ওপেনার সাই সুদর্শন ও জশ বাটলার মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৭৫ রান।
আরও পড়ুন: আইপিএলে মাঠের দৈর্ঘ্য ও পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধির দাবি গাভাস্কারের
দলীয় ১০৭ রানে ৩৬ বলে ৭টি চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৯ করে সাই সুদর্শন আউট হলেও রাদারফোর্ডকে নিয়ে বাকিটা পথ ধীরেসুস্থেই পাড়ি দেন ইংলিশ জশ বাটলার। শেষ পর্যন্ত ১৩ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পায় গুজরাট টাইটান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে অপরাজিত ৭৩ রান করেন তিনি। এছাড়া ১৮ বলে ৩০ রান করে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন রাদারফোর্ড। এই নিয়ে হার দিয়ে আসর শুরু করেও টানা দুই ম্যাচে জয় পেলো গুজরাট টাইটান্স।