বিশ্ব কূটনীতির ইতিহাসে ‘পিং পং কূটনীতি’র সূচনা করেছিল চীন। সেই ঐতিহাসিক নজিরের পথ ধরেই এবার তারা ক্রীড়াঙ্গনে বন্ধুত্ব জোরদারের নতুন প্রয়াসে বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়েছে৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই প্রস্তাব দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন,‘চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে চীনে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

এর আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে দল পাঠানোর আগ্রহ জানিয়েছে চীন। আসিফ মাহমুদ জানান,‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য চীন প্রস্তুত। অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষক ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান, যুব ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশীদারিত্ব—সব দিকেই চীন আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা
তিনি আরও জানান, দেশের ক্রীড়াব্যবস্থায় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘স্পোর্টস ইকোসিস্টেম’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যেখানে চীনের সহায়তা এবং কোচ ও খেলোয়াড়দের অলিম্পিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
চীন ইতোমধ্যে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার বহু দেশে ক্রীড়া সহায়তা দিয়ে নিজেদের কূটনৈতিক প্রভাব বাড়িয়েছে। এবার সেই চর্চা দক্ষিণ এশিয়াতেও বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের চীনে সফর বাস্তবায়িত হলে তা হবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো।
আরও পড়ুন: আকবরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ইমার্জিং দল ঘোষণা
অবশ্য, ক্রিকেট চীনে এখনো তেমন জনপ্রিয় না হলেও বাংলাদেশ দল সেখানে গেলে এ খেলাটির প্রসারেও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ডারা। এখন দেখার বিষয়, এই আমন্ত্রণ কীভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং কবে নাগাদ প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা যায়।