ঈদের বিশেষ সাক্ষাৎকারে অনফিল্ডের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। যেখানে নিজের ক্যারিয়ারের অনেক কিছুই অকপটে তুলে ধরেছেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ক্রিকেটার।
আশরাফুলের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর কথা উঠলেই সবার আগে ভেসে উঠে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। কিন্তু, ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আশরাফুল ৮৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংসও খেলেছিলেন। এই ইনিংসটা কী একটু আন্ডাররেটেড কীনা?
আশরাফুল বলেন, ‘দেখেন, যদিও এই ইনিংসের কথা একটু কমই আসে। তবে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন ওয়ানডেতে সেরা ইনিংসের কথা। আমি অবশ্যই এই ইনিংসকে এগিয়ে রাখব। তখনকার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এভাবে খেলতে পারা, র্যাংকিংয়ের ১ নম্বরেও ছিল তারা। আমরা ভারত-বারমুডাকে হারিয়ে সুপার এইটে উঠে দুইটা ম্যাচ হারলাম। এরপরই সবাই প্রশ্ন তুলেছিল যে আমাদের সুপার এইটে উঠায় বিশ্বকাপের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরেই এভাবে এই ম্যাচটা জিতলাম।’
আরও পড়ুন: দলকে ২০২৭ বিশ্বকাপ জেতাতে চান কোহলি
আশরাফুল আরও বলেন, ‘সবাই তখন বলাবলি করছিল যে আমরা সব ম্যাচে সহজেই হেরে যাব। আর এরপরেই আমরা গায়ানাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালাম। আমিও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলাম। ৬০ রানের ভেতর ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার আফতাব ও মাশরাফির সাথে পরবর্তীতে জুটি গড়ে দলকে জেতালাম। ঐ ইনিংসটা আমার কাছে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। আইসিসির কোনো ইভেন্টে সুপার এইটে গিয়ে বড় দলকে হারানো, অন্যরকম এক মুহূর্ত ছিল।’
আশরাফুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন বোলারের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন। এর উওরে তিনি সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ফ্লিনটফের কথা বলেন। আলাদা করে তিনি ফ্লিনটফের উচ্চতা ও বলের গতির কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া আশরাফুলের প্রিয় প্রতিপক্ষ কে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অকপটে তিনি শ্রীলঙ্কার নাম নেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি সবসময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে ইনজয় করতাম। আমার ক্যারিয়ারের খারাপ সময়েও যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামতাম, ম্যাচের আগেই আলাদা আত্মবিশ্বাস পেতাম। আমার মনে হতো, তাদের বিপক্ষে আমি রান করব। আমার ক্যারিয়ারে তাদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, হাজারের উপরে রান সবকিছুই আছে। মুরালি, চামিন্দা ভাসকে খুব সহজেই খেলতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের ভালোবাসায় ভরা ছিল দেশের বাইরের ঈদ: আশরাফুল
তবে আলাদা করে আশরাফুল জানান, ‘মাশরাফির ক্যারিয়ারের পিক টাইমে তাকে নেটে ফেস করতেও ঝামেলায় পড়ে যেতেন। তার শুরুর দিকে প্রায় ১৪৫ কিমি তে বল করতেন। এর সাথে লাইন লেন্থ হতো ঠিকঠাক। এছাড়া শাহাদাত হোসেন রাজিবকেও নেটে ফেস করাটা কঠিন ছিল।’