লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দিনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ১৬৯ রানে আপাতত পিছিয়ে আছে টেম্বা বাভুমার দল।
দিনের শুরুতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। আর দলীয় ১২ রানেই উসমান খাজাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের পক্ষে দারুণ শুরু করেন কাগিসো রাবাদা। এরপর একই ওভারে ফেরান তিনে নামা ক্যামেরুন গ্রিনকেও। দলীয় ৫০ রানের আগেই ফিরে যান আরেক ওপেনার মারনাশ লাবুশেন। বেশিদূর যেতে পারেননি ট্রাভিস হেডও। ইয়ানসেনের বলে ভেরেইন্নের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান মাত্র ১১ রান করেই। আর দলীয় ৬৭ রানের ভেতরেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
তবে এরপরেই স্টিভ স্মিথ আর ওয়েবস্টার মিলে দলের হাল ধরেন। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটারের ব্যাট থেকে ৭৯ রান যোগ হয়। এরপর ১১২ বলে ১০ চারে ৬৬ রান করা স্মিথ আউট হয়ে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ওয়েবস্টার।
আরও পড়ুন: ওপেনিংয়ে লাবুশেন, ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী একাদশ

শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারির ২৩ রান ছাড়া শেষের চার ব্যাটার যথাক্রমে ১,১, ও ০,০ রানে আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, অজিদের চার ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে মাত্র ২ রান যোগ হয়। মাত্র ৫৬.৪ ওভারেই ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ বলে ১১ চারে ৭২ রান করেন ওয়েবস্টার। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা। মার্কো ইয়ানসেন শিকার করেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মেইডেন উইকেট শিকার করেন পেসার মিচেল স্টার্ক। এইডেন মার্করামকে ফেরান শূন্য রানেই। এরপর আরেক ওপেনার রিকেলটনকেও মাত্র ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান মিচেল স্টার্ক। শুরুর ঝড়ে দ্রুত আউট হয়ে যায় উইয়ান মাল্ডার ও ট্রিস্টান স্টাবসও। দলীয় ৩০ রানের ভেতরেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: টেন্ডুলকারের পাশে নিজের নাম, বিশ্বাস হচ্ছে না অ্যান্ডারসনের

শেষ পর্যন্ত প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরে প্রোটিয়ারা। ৩৭ বলে ৩ রান করে অধিনায়ক বাভুমা ও বেডিংহ্যাম ৯ বলে ৮ রান করে অপরাজিত আছেন। অজিদের পক্ষে একাই ২ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। এছাড়া ১টি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড।