চলতি আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো রিশাভ পন্তের লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঘরের মাঠেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ। যেখানে বড় ভূমিকা রেখেছেন টানা দুই ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা ক্যারিবিয়ান নিকোলাস পুরান।
রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক পন্ত। আর অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতেই যেনো টানা দুই বলে অভিষেক শর্মা ও ঈষান কিষানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান শার্দুল ঠাকুর।
আরও পড়ুন: ডি ককের ব্যাটিং ঝড়ে কলকাতার প্রথম জয়
তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার ট্রাভিস হেড দলের রানের চাকা সচল রাখেন। তৃতীয় উইকেটে নিতিশ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। এরপর হেড আউট হয়ে গেলেও ক্লাসেন (২৬), অনিকেত ভার্মাদের (৩৬) কল্যানে ম্যাচে টিকে থাকে সানরাইজার্স। যার ইতি টানেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
শেষ দিকে ৪ বলে ৩ ছক্কা হাকিয়ে ১৮ রান করেন। আর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েই থামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। লক্ষ্ণৌর পক্ষে একাই ৪ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে যান এইডেন মার্করাম। তবে এরপরেই মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ১১৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে লক্ষ্ণৌ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দ্রুততম ফিফটি হাঁকান পুরান। শেষ পর্যন্ত আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৬টি চার ৬টি ছক্কার কল্যানে ৭০ রানের বিধ্বং’সী ইনিংস খেলে যান। অপর প্রান্তে থাকা মার্শও দেখা পান অর্ধশতকের।
আরও পড়ুন: পিএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেলেন লিটন-রিশাদ-নাহিদ
আর শেষ দিকে ডেভিড মিলারের অপরাজিত ১৩ ও আব্দুল সামাদের ৮ বলে অপরাজিত ঝড়ো ২২ রানের কল্যানে ২৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌছে যায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। চলতি আইপিএলে এটিই তাদের প্রথম জয়। হায়দরাবাদের পক্ষে কামিন্স ২ উইকেট শিকার করেন।