ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর আর স্বীকৃত ক্রিকেটেই দেখা যায়নি একসময়ের তিন ফরম্যাটেরই নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। যদিও সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে লঙ্কা টি-টেন লিগে খেলেছিলেন। তবে সময়ের হিসাবে তাও প্রায় ৫ মাস।
তবে সব জল্পনা-কল্পনা পেরিয়ে অবশেষে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তিনি। টুর্নামেন্টটির শেষ ভাগে দেখা যাবে টাইগারদের এই অলরাউন্ডারকে। সেখানে গিয়ে দলকে নিয়ে যেমন আশাবাদী, তেমনি নিজের ফেরাটা নিয়েও বেশ উদ্দীপ্ত এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: ‘তামিম ভাইয়ের পরেই আমি’ — উচ্ছ্বসিত সেঞ্চুরিয়ান ইমন
লাহোর কালান্দার্সের প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, “আসলে অনেকদিন পর আবার ম্যাচ খেলতে নামছি, তাই স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ধাক্কা থাকে। সে কারণেই অনুশীলনে একটু বাড়তি পরিশ্রম করেছি, কিছু ওভার বল করেছি যাতে ছন্দটা ফিরে আসে। আমি যেটা চেয়েছিলাম, সেটা পেয়েছি বলেই মনে হচ্ছে। এখন লক্ষ্য রবিবারের ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার।”
লাহোর কালান্দার্স দলে সাকিব এসেছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারেল মিচেলের বদলি হিসেবে। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন কিউই অলরাউন্ডার, আর তার ফাঁকা জায়গা পূরণ করতেই ডাকা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ককে।
এরই মধ্যে লাহোরের হয়ে ট্রেনিং সেশনও সেরে ফেলেছেন সাকিব। এই অলরাউন্ডার বলেন, “দিনটা আমার জন্য খুব ভালো কেটেছে। ভালো ঘুম দিয়েই শুরুটা হয়েছিল, আর সেটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা কেবল একজন খেলোয়াড়ই বোঝে। এরপর হালকা রিকভারি সেশন সেরে মাঠে এসেছি। ব্যাট, বল আর পুরোদমে ঘাম ঝরানোর দারুণ একটি সেশন হয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমি ম্যাচের জন্য পুরোপুরি তৈরি।”
আরও পড়ুন: ইমনের জন্য ‘স্পেশাল’ সেঞ্চুরি
রবিবার (১৮ মে) লাহোর কালান্দার্সের সামনে টুর্নামেন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ— পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারে টিকে থাকতে হলে পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে জিততেই হবে। ঠিক এমন সময়েই দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন সাকিব। এই চাপের মুহূর্তে তার অভিজ্ঞতা হতে পারে দলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
যদিও পিএসএলের ইতিহাসে সাকিব এখন পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন তিনটি মৌসুমে। ২০১৬ সালে করাচি কিংস, ২০১৭ ও ২০২৩ সালে পেশোওয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে ১৪ ম্যাচে করেছেন ১৮১ রান, নিয়েছেন ৮ উইকেট।
আবারও পাকিস্তানের এই সুপার লিগে খেলতে এসে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। সাকিব বলেন, “পাকিস্তানে আমি যতবার খেলতে এসেছি, প্রতিবারই দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা আর ক্রিকেটীয় আবহ সব মিলিয়ে আমার জন্য বরাবরই ভালো ছিল। আবারও এখানে ফিরে আসতে পেরে সত্যিই খুব খুশি লাগছে।”
এবার তার সামনে সুযোগ, নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার। দীর্ঘ দিন পর স্বীকৃত ক্রিকেটে ফিরে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই দলকে সাহায্য করতে চান এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: ইমনকে জয় উপহার দিলেন বোলাররা