বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

পাওয়ার চেয়ে হারালাম বেশি: লিটন

প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে গিয়েও কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে এসেছেন লিটন দাস। আঙুলের চোটে দুই সপ্তাহের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে বিধায় নিজের সিদ্ধান্তেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ফলে মাত্র একদিন অনুশীলন করেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের পিএসএল অভিযান।

দেশে ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লিটন বলেন, “অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। চিন্তা ছিল পুরো টুর্নামেন্ট খেলব। বিসিবিকে ধন্যবাদ, পুরো টুর্নামেন্ট খেলার জন্যই আমাকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের ওপর তো কিছু নেই। লাকও ফেভার করতে হয়। আমি দুর্ভাগা যে, পিএসএলের মতো একটা টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও কোনো ম্যাচ না খেলেই ফিরে আসতে হলো। আমি হতাশ।”

আরও পড়ুন: টানা তিন জয়ে লক্ষ্ণৌ, অভিষেক ঝড়ে জয়ে ফিরলো হায়দ্রাবাদও

করাচি কিংসের হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরির কারণে ম্যাচ না খেলেই ফেরেন লিটন। তবে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির প্রতি, “আমার ইনজুরি হওয়ার পর তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের মানসিকতাও খুব ভালো। তারা আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিল— আমি কী করব বা করতে চাই, সেটা আমার ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিল। তারা জানত সময় লাগবে। ব্যথা হচ্ছিল, তারা সময় দিয়েছিল আমাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। কিন্তু যখন ফ্র্যাকচার হলো, বোঝাই যাচ্ছিল এটা সময় নেবে। আর দুই সপ্তাহের বেশি চোটে থেকে এরপর ফিরে এসেই প্র্যাকটিস ছাড়া এত বড় টুর্নামেন্ট খেলা সহজ না। সামনে আবার জাতীয় দলের খেলাও আছে। সব মিলিয়েই বাস্তবতা মেনে নিয়েছি। এই রিকভারিটাও দরকার ছিল।”

এছাড়া পিএসএলের পরিবেশ সম্পর্কে লিটন বলেন, “পিএসএলের পরিবেশ খুবই ভালো। যেহেতু বড় বড় খেলোয়াড়রা সেখানে থাকে, ফ্যাসিলিটিও খুব ভালো। যদিও আমি একদিনই প্র্যাকটিস করেছি, তবে ওদের যাবতীয় সরঞ্জাম খুবই মানসম্মত। হয়তো কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারলে বা আরও কিছুদিন বেশি থাকতে পারলে পিএসএলের পরিবেশ সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পেতাম। তবে যতটুকু বুঝেছি, দল হিসেবেও তারা অন্তত গুছানো।”

আইপিএল না পিএসএল? মানের দিক দিয়ে কোনটা বড়? লিটন জানান, “আইপিএল তো সবাই জানে— এটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। পিএসএলে দু’একটা ম্যাচ খেলতে পারলে হয়তো মাঠের পরিস্থিতিটাও ভালোভাবে বুঝে যেতাম। তবে সামগ্রিকভাবে আমার দলের ফ্যাসিলিটি, প্র্যাকটিস সেশন— সবকিছুই খুব ভালো ছিল।”

লিটনের দলেই ছিলেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। তার সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওয়ার্নারের সঙ্গে তেমন কথাই হয়নি। একদিনের অনুশীলনে আর কী-ই বা করা যায়! যা হয়েছে, ক্ষতিই হয়েছে মনে হয়। চোট একটা বড় বিষয়। পিএসএলে পাওয়ার চেয়ে হারালামই বেশি।”

আরও পড়ুন: গ্লোবাল সুপার লিগে রিশাদকে চায় হোবার্ট

অন্যদিকে লিটন বলেন, এয়ারপোর্টে অনেক পাকিস্তানিই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছে। স্পেশালি, পেশোয়ার জালমিতে সুযোগ পাওয়া পেসার নাহিদ রানার বোলিং দেখতে উদগ্রীব সবাই। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এয়ারপোর্টে অনেকেই বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের খোঁজ নিয়েছে। ওদের জন্য পিএসএল বড় একটা টুর্নামেন্ট। সেই ভাইবটা পাওয়া যায়। নাহিদ রানার কথা বলতে দেখা গেছে অনেককে। সে তো সেখানে গিয়ে টেস্টে খুব ভালো বল করেছিল। ওইসব ব্যাপারে কথা হচ্ছিল— কবে আবার আসতে পারে!”

সব শেষে ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়ে লিটন দাস বলেন, “ভক্তদের কাছে একটাই চাওয়া— আমার জন্য দোয়া করবেন। আর তো কিছু বলার নেই। এটা সময় নেবে। দোয়া করবেন, পাশে থাকবেন আপনারা সবাই।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর