বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

নাইটহুড খেতাবে ভূষিত হলেন জেমস অ্যান্ডারসন

ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য এক অধ্যায় লিখে এবার নাইটহুডের মর্যাদায় ভূষিত হলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা পেসারকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের রেজিগনেশন অনার্স লিস্টে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ১৮৮টি টেস্টে শিকার করেছেন ৭০৪ উইকেট— পেস বোলারদের মধ্যে যা বিশ্ব রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি উইকেট কেবল দুজন স্পিনারের— শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০) এবং অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।

আরও পড়ুন: পিএসএলের মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি প্রকাশ

৪২ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি এখনো ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। তবে চলতি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে কাফ ইনজুরির কারণে শুরুটা মিস করেছেন।

২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক, ২০০৩ সালে টেস্ট অভিষেক— এরপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের নেতা ছিলেন তিনি।

২০১৬ সালে রাজপরিবারের তরফ থেকে ওবিই খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। আর এবার জুটলো নাইটহুড। ক্রিকেট ইতিহাসে অ্যান্ডারসনকে ধরা হয় সেরা পেসারদের একজন হিসেবে। বয়সের সীমাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি যখন চল্লিশ পেরিয়েও শীর্ষে, তখন ২০২৩ সালে আইসিসি টেস্ট বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে নতুন দৃষ্টান্ত গড়েছিলেন।

তার বিদায়টা যদিও পুরোপুরি নিজের ইচ্ছায় নয়। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তাকে অবসরে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। তবে ক্রিকেট ছাড়ার কোনো তাড়া নেই অ্যান্ডারসনের।

আরও পড়ুন: ২০২৭ সাল পর্যন্ত লিভারপুলেই থাকছেন সালাহ

তিনি বলেন— “আমি এখনো মনে করি আরও এক, দুই কিংবা তিন বছর খেলা সম্ভব। দেখি কী হয়। হয়তো এক মাস খেলার পর মনে হতে পারে আর পারবো না। আবার হতে পারে দুর্দান্ত একটা বছর কাটলো, আমরা সব ট্রফি জিতলাম— তখন হয়তো ক্লাব আমাকেই রাখতে চাইবে। সময়ই সব বলে দেবে।”

এমন মনোভাবই তো কিংবদন্তিদের আলাদা করে তোলে। মাঠের পারফরম্যান্স আর মাঠের বাইরে সম্মান— দুই দিক থেকেই অ্যান্ডারসন বনে গেলেন ক্রিকেটের ‘স্যার।’

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর