২২ বছর পর ইংল্যান্ড সফরে গিয়েই কড়া বাস্তবতার মুখে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ট্রেন্ট ব্রিজে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরালেন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। সেঞ্চুরি করলেন টপ অর্ডারের তিনজনই—বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি ও অলিভার পোপ। দিনশেষে স্কোরবোর্ডে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৯৮।
দিনের খেলা হয়েছে ৮৮ ওভার। প্রতি ওভারেই রান এসেছে গড়ে ৫.৬৫ করে। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে এ রান তোলাটা শুধু দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের নয়, জিম্বাবুয়ের বোলারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সেরও প্রতিচ্ছবি।
আরও পড়ুন: এক ওভার হাত ঘুরিয়েই বাজিমাত সাকিবের
শুরুর ঝড় তোলেন বেন ডাকেট। মাত্র ১৩৪ বলেই তুলে নেন ১৪০ রান। তার ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও দুটি ছক্কার মার। সঙ্গে ছিলেন জ্যাক ক্রলি, যিনি ধীরস্থির শুরু করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। শেষ পর্যন্ত ১৭১ বলে ১২৪ রান করে থামেন। এই জুটি থেকে আসে ২৩১ রান—১৯৬৫ সালের পর ইংল্যান্ডে এটি তাদের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে পোপের সঙ্গে জুটি গড়েন ক্রলি। সেখানেও আসে ১৩৭ রান। ক্রলি ফিরে যাওয়ার পর ব্যাট হাতে রানে রাঙাতে থাকেন পোপ। শেষ বিকেলে দেড়শ পার করা পোপ দিন শেষে অপরাজিত থাকেন ১৬৯ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২৪টি চার ও দুটি ছক্কায়। বিশেষ এক পরিসংখ্যানেও নজর কাড়েন তিনি—টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম আটটি সেঞ্চুরি করলেন ভিন্ন আট দলের বিপক্ষে। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখনও নেই সেঞ্চুরি।
দিনের শেষদিকে নিজের অভিজ্ঞতায় কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন জো রুট। তবে তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ৩৪ রানে ফিরেন ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দশা চোখে পড়ার মতো। ওয়েসলি মাধেভেরে আর সিকান্দার রাজা দুটো বড় জুটি ভাঙলেও প্রতিপক্ষের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কাছে বারবারই অসহায় দেখা গেছে তাদের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দিনেই তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি তোলা ঘটনা খুব বেশি নয়। ইংল্যান্ডের পক্ষেই এমনটা এর আগে দেখা গেছে ২০২২ সালে, রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই যেন ঘটল এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: রিয়ালের ইতিহাসের পাতায় ইতি টানছেন লুকা মদ্রিচ
দিন শেষে পোপের সঙ্গী ছিলেন হ্যারি ব্রুক, তিনিও শুরুটা ভালো করেই করেছেন। বাকি দুই দিনেও যদি ব্যাটসম্যানরা একই ছন্দে থাকেন, তাহলে এই ম্যাচ একতরফা হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট।